পর্যালোচনা

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণা কঠিন তবে ভবিষ্যত্মুখী সিদ্ধান্ত

মামুন রশীদ

বাংলাদেশের পাট শিল্প স্বাধীনতার আগেই বিশ্বব্যাপী সুখ্যাত ছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালে বিজেএমসির আওতায় ৭০টিরও বেশি পাটকল ন্যস্ত ছিল। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে মিল সংখ্যা কমতে কমতে সম্প্রতি ২৫- নেমে এসেছে। সরকার এরই মধ্যে অনেক লোকসানি বন্ধ কারখানার সম্পত্তি ব্যক্তিমালিকদের কাছেও বিক্রি করে দিয়েছে।

দেশের বৃহত্তম পাটকল আদমজী পাটকল বন্ধ করা ছিল একটি সুকঠিন প্রক্রিয়া। পরবর্তীকালে তার আংশিক জায়গায় আদমজী ইপিজেড স্থাপন এবং অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রমাণ করেছে সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল। ভর্তুকির নামে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ক্রমাগত রক্তপাতের কথা না-হয় বাদই দিলাম।

গত বৃহস্পতিবার সর্বশেষ পাটকলগুলোও বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছরের মধ্যে ৪৪ বছরই লোকসানে ছিল বিজেএমসি। বর্তমানে সংস্থাটির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি খাতের অনেক পাটকল ঠিকই মুনাফা করতে পারছে। সরকারের নিজের পাটকলগুলোকে বরং ক্রমাগত ভর্তুকি দেয়ার ফলে ব্যক্তিমালিকানাধীন পাটকলগুলোও কৃত্রিম প্রতিযোগিতায় পড়ে সমস্যায় ছিল।

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধ ঘোষণার কারণ হিসেবে সরকারের পক্ষে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পাট শিল্পকে আবার কীভাবে প্রতিযোগিতায় আনা যায় এবং কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে বিবেচনা থেকেই পাটকলগুলো বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সংগত কারণেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো সুযোগ করে দেয়া এবং বিশ্ববাজারে আরো প্রতিযোগিতাশীল হয়ে ওঠার ব্যাপারটিও রয়েছে।

পত্রিকান্তরে জেনেছি কী প্রক্রিয়ায় লোকসানি পাটকলের বোঝামুক্ত হওয়া যায়, সেই কর্মপরিকল্পনার একটি সারাংশ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছিল বস্ত্র পাট মন্ত্রণালয়। সেই সারাংশে স্বাক্ষর করে কার্যক্রম বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পরবর্তীতে যথার্থই বলেছেন, সরকারি খাতের পাটকলগুলোর শ্রমিকদের সমুদয় পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে যে পাট পাটজাত পণ্য উৎপাদিত হয়, তার ৯৫ শতাংশই বেসরকারি পাটকলে উৎপাদিত হয়। সরকারি খাতটি এরই মধ্যে অত্যন্ত সংকুচিত হয়ে গেছে, যা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছিল না। যদিও তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ক্রমাগত ভর্তুকির ব্যাপারে কিছু বলেননি, তবে এগুলোকে আবার প্রতিযোগিতায় কীভাবে আনা যায় এবং কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সেই বিবেচনাটিও সরকারের রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। আমরা অনেকেই অবশ্য রাষ্ট্রের ব্যবসা করা, কলকারখানা চালানো কিংবা ব্যবসায়ে জড়িত থাকার পক্ষে নই। 

এখানে একটি প্রণিধানযোগ্য বিষয় হলো, সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম সাইফুর রহমান আদমজী পাটকল বন্ধের আগে যেমনটি বলেছিলেন, মুখ্য সচিব মহোদয়ও অনেকটা তেমনি বলেছেনএসব পাটকল বন্ধ থাকলে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, চালু থাকলে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। তবে ভালো দিকটি হলো, সরকার এসব পাটকলের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তার জন্য তাদের ২০১৫ সালের জাতীয় মজুরি কাঠামো অনুযায়ী সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আমরা জানি রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে লোকসান হলে কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য সরকারের অর্থের ওপর নির্ভর করতে হয়। এক্ষেত্রেও প্রতি মাসেই শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়ে সমস্যা চলছিল। এবার অবশ্য পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে পরবর্তী তিনদিনের মধ্যে তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাটকলগুলোর ২৫ হাজার শ্রমিককে তাদের অবসরকালীন সুবিধাসহ পাওনা পরিশোধ বাবদ সরকারের হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে প্রাক্কলিত হয়েছে।

শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের ধরন সম্পর্কে জানা গেছেএক্ষেত্রে যেসব শ্রমিক অনধিক লাখ টাকা প্রাপ্য, তাদের পুরো টাকা এককালীন নগদ পরিশোধ করা হবে। পাওনা টাকার মধ্যে ৫০ শতাংশ এককালীন নগদ এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক পারিবারিক সঞ্চয়পত্র আকারে পরিশোধ করা হবে। আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সামান্য অভিজ্ঞতার কারণে আমার সমাধান বেশ চিন্তাপ্রসূত মনে হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ জুন পাটকল বন্ধসংক্রান্ত প্রস্তুতি সভা শেষে বস্ত্র পাটমন্ত্রী অবশ্য বলেছিলেন, সরকার গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেবে। আগে মিলগুলোকে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। এবার এগুলোকে বিক্রি না করে জুট মিলই রাখা হবে। ম্যানেজমেন্ট দেয়া হবে, যাতে লোক ছাঁটাই না হয়। এই শ্রমিকরা এখানেই চাকরি পাবেন, দক্ষ শ্রমিক ছাড়া মিল চালাতে দেয়া হবে না। মিলগুলো বুঝে পাওয়ার পরে টেন্ডার হবে। যে বেশি দাম দেয়, তাকে দেয়া হবে। তবে তাকে হতে হবেজুট মিল এক্সপার্ট জুট মিল এক্সপার্ট না হলে সে কাজ করবে না। জমি নেয়ার চেষ্টা করলে, সেটা আমরা দেব না। তিনি এটাও বলেছেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে জুট মিল থাকবে, এটা নাকি সিদ্ধান্ত।

সরকার পিপিপির কথা বললেও এর আগেও রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বিরাষ্ট্রীয়করণ হয়। তখনকার অভিজ্ঞতা তেমন ভালো নয়। বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করা মিলগুলোর বেশির ভাগই সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে। বেসরকারি খাতে দেয়া চারটি পাটকল ফিরিয়েও নিয়েছে সরকার। বস্ত্র পাট মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে দেয়া মিলগুলোর নতুন মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে মিল পরিচালনা না করে বন্ধ অবস্থায় ফেলে রেখেছেন, হাজার-হাজার শ্রমিক-কর্মচারীকে তাদের কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন। এতে মিল হস্তান্তরের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে এবং হস্তান্তর চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী সরকার, বিজেএমসি অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশোধের জন্য বারবার পত্র দেয়া সত্ত্বেও পাওনা পরিশোধ করেনি বেসরকারি খাতে দেয়া মিল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া দায়দেনা পরিশোধ না করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে মিল বন্ধ রেখে উৎপাদন বৃদ্ধি না করে চুক্তিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করেছে। শেয়ার মূলধনের অবশিষ্ট টাকা পরিশোধের জন্য বারবার পত্র দেয়া হলেও মিলের ক্রেতারা ওই অর্থ পরিশোধ করেননি। সরকার সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যাবতীয় পাওনা পরিশোধের আগে মিলের কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে বিক্রয়/হস্তান্তর না করার জন্য চুক্তিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েও মিলের যাবতীয় মেশিনারি স্থাপনা সরকারের অগোচরে বিক্রি করে চুক্তি ভঙ্গ করেছেন।

বর্তমান সরকারের আমলে আগেও রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল নিয়ে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কয়েক বছর আগে চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান চায়না টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশন ফর ফরেন ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল করপোরেশনের (সিটিইএক্সআইসি) কারিগরি সহায়তা নেয়ার জন্য সমঝোতা চুক্তি সই হয়। সিটিইএক্সআইসি জরিপ বলছে, পাটকলগুলোর বিদ্যমান পুরনো মেশিন সংস্কার করে কোনো লাভ হবে না। সব মেশিন বদলানোর পরামর্শ দেন তারা।

ব্যক্তি খাতের সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা যথার্থই বলেছেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী মিলগুলো আধুনিকায়নের পর পাট খাতের সম্ভাবনা হয়তো কাজে লাগানো সম্ভব হবে। তবে তারা এটাও বলেছেন, পাটের বৈশ্বিক চাহিদা কমে আসছে। প্রেক্ষাপটে লাভজনকভাবে মিল পরিচালনা করার জন্য সুচিন্তিত পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে। পিপিপির আওতায় বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়েই মিলগুলো পরিচালনা করা প্রয়োজন হবে বলেও তারা বলেছেন।

আমরা জানি, সারা বিশ্ব এখন সবুজায়নে জোর দিচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৮টি দেশ পলিথিন ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ওই দেশগুলোয় বিপুল পরিমাণে পাটের ব্যাগের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাটবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল জুট স্টাডি গ্রুপের প্রাক্কলন অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে বছরে পাঁচ হাজার কোটি পিস শপিং ব্যাগের চাহিদা রয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক আঁশ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের পর শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেই দেড় হাজার কোটি ডলারের শপিং ব্যাগের বাজার তৈরি হবে। এছাড়া পাটের শপিং ব্যাগ, শৌখিন আসবাবসামগ্রী তৈরির কাঁচামাল উৎপাদনেরও সুযোগ রয়েছে। বিশ্ববাজারে শুধু পাটের ব্যাগের চাহিদা রয়েছে ৫০০ বিলিয়ন পিস। এতে পাটের তৈরি পণ্যের বড় ধরনের চাহিদা তৈরি হবে। এতে দেশগুলোয় বার্ষিক বিপুল পরিমাণে পাটের ব্যাগের চাহিদা সৃষ্টি হবে। তাছাড়া পাটের শপিং ব্যাগ, শৌখিন আসবাবসামগ্রী তৈরির কাঁচামাল উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। ফলে রফতানির অন্যতম খাত হতে পারে পাট। সেই বাজার ধরতে আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলো এরই মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে আমাদের এখানে পরিকল্পনা বিনিয়োগের অভাবে সেটি ধরা কষ্টকরও হতে পারে। উৎপাদন খাতে কার্যকর বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনায় সরকারগুলো সবসময়ই দুর্বল। এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে ভালো বেসরকারি উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীদেরই।      

বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের কারণে পাটের সম্ভাবনা অফুরন্ত। সম্ভাবনাময় আন্তর্জাতিক বাজারের ১০ শতাংশও দখল করতে পারলে শুধু এই পাট দিয়েই বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। এজন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কারখানা স্থাপন করতে হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য প্রবেশের জন্য গবেষণা বাড়ানো আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদামাফিক পণ্য তৈরির জন্য দেশে দক্ষ জনবল তৈরি করা প্রয়োজন। পাশাপাশি যান্ত্রিক সুবিধা বাড়াতে বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন। এজন্য বেসরকারি খাতকে অনেক সহযোগিতা প্রয়োজন। বেসরকারি খাতে জবাবদিহিতা সৃষ্টি করা গেলে রাষ্ট্রীয় খাতে হয়তো আর লোকসান বা বিনিয়োগেরও প্রয়োজন হবে না।   

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো লাভের মুখ দেখতে না পারার একটি বড় কারণ নতুন নতুন প্রযুক্তি না আসা পণ্যের বহুমুখিতা না হওয়া। এছাড়া অব্যবস্থাপনা দুর্নীতি তো ছিলই।

বিশেষজ্ঞরা যথার্থই বলেছেন, গবেষণাহীনতা পুরনো মেশিন দিয়ে বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। দেশের কারখানাগুলোয় মাত্র পাঁচ-সাত ধরনের ইয়ার্ন তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু ভারতের কারখানাগুলো ১১০টির বেশি ইয়ার্ন তৈরি করছে। ফলে সুতাভিত্তিক পণ্য তৈরিতে আমরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছি না। একসময় পাট দিয়ে শুধু দড়ি, চট, ছালা তৈরি হতো। কিন্তু পাট দিয়ে এখন শত শত ধরনের ব্যবহার্য জিনিস তৈরি হচ্ছে। ঘরের দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিস থেকে শুরু করে বিশ্বের নামিদামি গাড়ির ভেতরের কাপড়, বডি, বিছানার চাদর, টুপি, ফার্নিচার, শার্ট, প্যান্ট এমনকি অন্যান্য জিনিসও এখন তৈরি হচ্ছে পাট থেকে। তৈরি হচ্ছে পাট পাতার চা। সামনের দিনে আমরা যদি হোম টেক্সটাইল, হোম ফার্নিশিং বিশেষ করে পর্দার কাপড়, কাভার শৌখিন কাপড় তৈরি করতে পারি, তাহলে তা আরো বাড়ানো সম্ভব। এছাড়া লাইফস্টাইল পণ্য গিফট তৈরি করাও সম্ভব। তবে তার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে লোকসান দিয়ে ব্যবসা চালানো নয়, সঠিক নীতি সহিযোগিতা, দক্ষ শ্রমিক ব্যবস্থাপনা আর উন্নত প্রযুক্তিকেই সাথী করে এগোতে হবে।

 

মামুন রশীদ: অর্থনীতি বিশ্লেষক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন