বিশ্বব্যাপী ১৫ হাজার
কর্মী ছাঁটাইয়ের
পরিকল্পনা করছে
এয়ারবাস। নভেল করোনাভাইরাস
মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে
এ শিল্প
যে ‘ভয়াবহ সংকটের’ মধ্য
দিয়ে যাচ্ছে,
সে পরিপ্রেক্ষিতে
মঙ্গলবার এ
ঘোষণা দেয়
ইউরোপীয় শীর্ষ
উড়োজাহাজ নির্মাতা
প্রতিষ্ঠানটি। খবর এএফপি।
২০২১ সালের গ্রীষ্মের
মধ্যে এ
ছাঁটাই কার্যকর
হবে বলে
বিবৃতিতে জানানো
হয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোয়
বাণিজ্যিক এভিয়েশন
ব্যবসায় প্রায়
৪০ শতাংশ
পতন হয়েছে। কভিড-১৯ পূর্ব
আকাশপথে ভ্রমণ
শুরু হতে
২০২৩ সাল
নাগাদ লেগে
যেতে পারে। এখনো
মহামারী নিয়ন্ত্রণে
বিভিন্ন দেশ
কুলকিনারা করতে
না পারায়
২০২৫ সাল
নাগাদ লেগে
যেতে পারে
বলেও আশঙ্কা
করছেন অনেকে।
ফ্রান্সভিত্তিক এয়ারবাস বলছে,
ফ্রান্স ৫
হাজার, জার্মানিতে
৫ হাজার
১০০, স্পেনে
৯০০, ব্রিটেনে
১ হাজার
৭০০ এবং
বিশ্বের অন্যান্য
অংশে ১
হাজার ৩০০
কর্মী ছাঁটাই
করা হবে।
এয়ারবাসের প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা গুইলাউম
ফাউরি বলেন,
আকাশসেবার ইতিহাসে
সবচেয়ে ভয়াবহ
সংকটের সামনে
দাঁড়িয়েছে এয়ারবাস।
গত এপ্রিলেই কোম্পানিটি
জানিয়েছিল,তারা
উড়োজাহাজ নির্মাণ
এক-তৃতীয়াংশ
কমিয়ে আনবে।
এখন কোম্পানির বিভিন্ন
শ্রমিক ইউনিয়নের
সঙ্গে বিভিন্ন
পদক্ষেপ নিয়ে
আলোচনা চালাবে
বলে জানিয়েছে
এয়ারবাস। এর মধ্যে
রয়েছে স্বেচ্ছায়
পদত্যাগ, আগাম
অবসর, দীর্ঘমেয়াদি
আংশিক বেকারত্ব
সুবিধা।
ফ্রান্স তাদের এভিয়েশন
শিল্পকে রক্ষা
এবং কর্মসংস্থান
সুরক্ষায় গত
মাসের শুরুতে
১ হাজার
৫০০ কোটি
ইউরোর প্যাকেজ
ঘোষণা করেছিল।
প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে
বিভিন্ন দেশের
ভ্রমণে বিধিনিষেধ
জারিতে কখন
গ্রাউন্ডেড উড়োজাহাজগুলো
ফের আকাশে
উড়বে তা
নিশ্চিত নয়।
এয়ারবাসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বোয়িং
গত এপ্রিলে
জানিয়েছিল যে
তারা তাদের
১০ শতাংশ
কর্মী ছাঁটাই
করবে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে
তাদেরকে ঐচ্ছিক
বা অনৈচ্ছিক
ছাঁটাইয়ে পাঠাবে
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উড়োজাহাজ
নির্মাতা কোম্পানিটি।