চলতি বছর মূল্যস্ফীতির
গড় ৪
শতাংশে রাখতে
চাইছে ভিয়েতনাম
সরকার। সে লক্ষ্য
অর্জনে বেশ
ভালো অবস্থানেই
রয়েছে দেশটি। নভেল
করোনাভাইরাসের আর্থিক
সংকটের মধ্যেও
সেখানে ভোক্তামূল্য
সূচক টানা
দুই মাস
ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। জুনে
দেশটির ভোক্তামূল্য
সূচক ৩
দশমিক ১৭
শতাংশ বেড়েছে। তার
আগের মাসে
সূচক বেড়েছিল
২ দশমিক
৪ শতাংশ। খবর
ব্লুমবার্গ।
জুনে ভিয়েতনামের বাণিজ্য
উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে
৫০ কোটি
ডলার। যেখানে মে
মাসে ঘাটতি
ছিল ৯০
কোটি ডলার। সার্বিকভাবে
দ্বিতীয় প্রান্তিকে
ভিয়েতনামের রফতানি
২ শতাংশ
কমেছে। বিপরীতে আমদানি
বেড়েছে ৫
দশমিক ৩
শতাংশ।
ভিয়েতনামের অর্থনীতি মূলত
রফতানিনির্ভর। স্বাভাবিকভাবে করোনার
কারণে বৈশ্বিক
সরবরাহ ব্যবস্থা
ও চাহিদায়
ধস নামায়
অর্থনীতি বড়
ধরনের ধাক্কা
খেয়েছে। তবে ভিয়েতনাম
এখনো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার
দেশগুলোর মধ্যে
বেশ ভালো
অবস্থায় রয়েছে। গত
মাসে দেশটির
প্রধানমন্ত্রী নুয়েন
সুয়ান ফুক
বলেন, সরকার
আরো বেশি
বিদেশী বিনিয়োগ
আকর্ষণের চেষ্টা
করছে। ফলে পুরো
বছরে ভিয়েতনামের
অর্থনীতিতে ৪
থেকে ৫
শতাংশ প্রবৃদ্ধি
দেখা যেতে
পারে।
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে
সারা বিশ্বের
অর্থনীতিই সংকোচনের
মুখে রয়েছে। কিন্তু
এমন পরিস্থিতির
মধ্যে চলতি
বছরের দ্বিতীয়
প্রান্তিকে অপ্রত্যাশিতভাবে ভিয়েতনামের
জিডিপি বেড়েছে। অবশ্য
প্রবৃদ্ধির হার
অন্তত গত
এক দশকের
মধ্যে সর্বনিম্ন
রয়েছে।
ভিয়েতনামের জেনারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস
জানিয়েছে, দ্বিতীয়
প্রান্তিকে দেশটির
জিডিপি আগের
বছরের একই
সময়ের তুলনায়
দশমিক ৩৬
শতাংশ বেড়েছে। আগের
প্রান্তিকে এ
হার ছিল
৩ দশমিক
৬৮ শতাংশ। করোনায়
রফতানিতে ধস
নামার কারণে
প্রবৃদ্ধির হার
প্রায় শূন্যের
কাছাকাছি নেমে
এলেও অন্তত
অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস
অনুযায়ী সংকোচন
হয়নি। ব্লুমবার্গের একটি
জরিপে অর্থনীতিবিদরা
জিডিপিতে দশমিক
৯ শতাংশ
সংকোচনের আশঙ্কা
করেছিলেন।