রাষ্ট্রীয় প্রণোদনায় ভর
করে জুনে
ফ্রান্সে বেড়েছে
গাড়ি বিক্রি। দ্য
ফ্রেঞ্চ কারমেকারস
ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন
(সিসিএফএ) গতকাল
জানিয়েছে, জুনে
দেশটিতে গত
বছরের একই
মাসের তুলনায়
গাড়ি বিক্রি
১ দশমিক
২ শতাংশ
বেড়ে ২
লাখ ৩৩
হাজার ৮১৮
ইউনিটে এসে
দাঁড়িয়েছে। খবর এএফপি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নভেল
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ
প্রতিরোধে লকডাউন
জারি করে
ফরাসি সরকার। ১৭
মার্চ থেকে
১১ মে
পর্যন্ত লকডাউন
চলাকালে দেশটিতে
শুধু গাড়ি
বিক্রিই নয়,
অধিকাংশ ব্যবসা
কার্যক্রমেই ধস
নামে। এর মধ্যে
মার্চ, এপ্রিল
ও মে
মাসে গাড়ি
বিক্রির পতন
হয় যথাক্রমে
৭২, ৮৯
ও ৫০
শতাংশ। ফলে জুনে
গাড়ির বিক্রি
বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের
মধ্যে পুনরায়
আশার সঞ্চার
করেছে।
সিসিএফএ মুখপাত্র ফ্রাঁসোয়া
রোউডিয়ের বলেন,
লকডাউন-পরবর্তী
গাড়ি বিক্রির
ক্ষেত্রে এটি
বেশ ভালো
পুনরুদ্ধার। বিশেষ করে
সরকারি প্রণোদনার
পরিপ্রেক্ষিতে জুনে
ইলেকট্রিক ও
হাইব্রিড গাড়ির
বিক্রি বেড়েছে। এর
মধ্যে সবচেয়ে
বেশি বিক্রি
হয়েছে এন্ট্রি-লেভেল মডেলগুলো। রোউডিয়ের
বলেন, এন্ট্রি-লেভেল মডেলের
গাড়ি বিক্রির
মাধ্যমে বোঝা
যায় গাড়ি
কিনতে সরকারি
এ প্রণোদনা
মধ্যম আয়ের
এমন ব্যক্তিদের
সহায়তা করেছে,
যাদের আগে
হাইব্রিড কিংবা
ইলেকট্রিক গাড়ি
কেনার সক্ষমতা
ছিল না।
হাইব্রিড গাড়ির এ
বিক্রি বৃদ্ধিতে
লাভবান হয়েছে
জাপানি কোম্পানি
টয়োটা। কারণ হাউব্রিড
গাড়ি উৎপাদনে
কোম্পানিটির অবস্থান
বেশ শক্ত। জুনে
গত বছরের
একই মাসের
তুলনায় টয়োটার
গাড়ি বিক্রি
বেড়েছে ১৭
শতাংশ। একইভাবে হাইব্রিড
ও ইলেকট্রিকের
ওপর ভর
করে হুন্দাইয়ের
গাড়ি বিক্রি
বেড়েছে ২৭
শতাংশ। তবে জুনের
এ বৃদ্ধি
সত্ত্বেও চলতি
বছরের প্রথমার্ধে
ফ্রান্সে গাড়ি
বিক্রির উল্লেখযোগ্য
পতন হয়েছে। সব
মিলিয়ে এ
সময় বিক্রি
প্রায় ৩৯
শতাংশ কমে
৭ লাখ
১৫ হাজার
৮০২ ইউনিটে
এসে দাঁড়িয়েছে। সিসিএফএর
পূর্বাভাস বলছে,
২০২০ সালে
ফ্রান্সে গাড়ি
বিক্রির পতন
হবে ২০-৩০ শতাংশ।
