কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল নিয়ে বিতর্ক

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যাকসিন ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, তা পরীক্ষার জন্য প্রথমে কোনো ব্যক্তির শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো হয়, এরপর তার শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করানো হয় বিশেষজ্ঞরা এমনটাই বলছেন ঝুঁকিপূর্ণ এই ট্রায়াল নিয়ে বিতর্কও আছে

প্রবক্তারা এই কৌশলকে বলছেন হিউম্যান চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল এতে সময় অনেক বেঁচে যায় আগে সচরাচর উপায়ে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করা হতোপ্রাকৃতিকভাবে ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির দেহে ভ্যাকসিন প্রবেশ করিয়ে তারপর অপেক্ষা কিন্তু এখন সময় বাঁচাতে গবেষকরা কোনো ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে সংক্রমিত করে থাকেন

নতুন ভ্যাকসিন পরীক্ষার এই চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল অবশ্য এবারই প্রথম নয় এর আগে টাইফয়েড, কলেরা, ম্যালেরিয়া অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রেও এর প্রয়োগ হয়েছে ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকরা মশাভর্তি কোনো চেম্বারের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে কামড় খাওয়ার সংক্রমিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেন তখন যারা অসুস্থ হয়ে পড়তেন তাদের আরোগ্য করে তোলার জন্য তথাকথিত উদ্ধার ওষুধে ব্যবস্থা ছিল কভিড-১৯ রোগের ক্ষেত্রে অবশ্য এমন কোনো ওষুধের ব্যবস্থা নেই নৈতিক ব্যবহারিক উভয় কারণেই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালের ধারণা প্রচণ্ড বিতর্কের সৃষ্টি করেছে

গত মাসে প্রকাশিত খসড়া প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৯ জনের প্যানেল এই ট্রায়ালের জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করে তাতে বলা হয়, যাদের ওপর পরীক্ষা চালানো হবে তারা যেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয় বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে থাকে কেননা এমন মানুষের গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া কিংবা ভাইরাসটিতে মারা যাওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কম থাকবে

নিউইয়র্ক টাইমস

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন