নতুন এক সমীক্ষা
বলছে, আমেরিকানদের
মধ্যে ৪০
শতাংশ মানুষেরই
বিশ্বাস, কভিড-১৯ মহামারীর
খারাপ সময়টা
তারা পেছনে
ফেলে এসেছে। যদিও
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা
বলছেন, বৈশ্বিক
মহামারী এখনো
সংক্রমণের চূড়ায়
পৌঁছেনি।
দুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল
ইনস্টিটিউট অব
অ্যালার্জি অ্যান্ড
ইনফেকশাস ডিজিজেসের
পরিচালক ও
করোনাভাইরাস বিষয়ক
হোয়াইট হাউসের
টাস্কফোর্সের অন্যতম
বিশেষজ্ঞ ড.
অ্যান্থনি ফউসি
বলছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে
শতভাগ হার্ড
ইমিউনিটি হবে
না, কেননা
এখানকার মানুষদের
এক-তৃতীয়াংশ
ভ্যাকসিন নিতে
অনীহা দেখাবে। তার
কথার খানিকটা
প্রতিধ্বনি শোনা
গেল এই
সমীক্ষায়। পিউ রিসার্চ
সেন্টার মধ্য
জুনে (১৬
থেকে ২২
জুন) সমীক্ষাটি
পরিচালনা করে। এতে
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে
৪০ শতাংশ
আমেরিকান বলছে,
করোনাভাইরাস নিয়ে
সংকট শেষ
হয়েছে, যদিও
৫৯ শতাংশ
বলছে, মহামারীর
খারাপ সময়টা
এখনো সামনে। অথচ
দুই মাস
আগেও পিউর
আরেকটি সমীক্ষায়
৭৩ শতাংশ
আমেরিকান বলছিল,
মহামারীর খারাপ
সময়টা সামনে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কভিড-১৯
মহামারীর বর্তমান
পরিস্থিতি নিয়ে
৪ হাজার
৭০৮ জন
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
মতামত নেয়
পিউ। তাতে দেখা
যায়, ৪০
শতাংশই মহামারী
পেছনে ফেলে
এসেছে বলে
জানায়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও
সত্য, জাতীয়
ও আন্তর্জাতিক
চিত্র এই
সমীক্ষার ফলকে
মোটেও সমর্থন
করছে না। জনস
হপকিনস ইউনিভার্সিটির
তথ্য বলছে,
বুধবার পর্যন্ত
সারা বিশ্বে
১ কোটি
৪ লাখ
৮৫ হাজার
মানুষ ভাইরাসটিতে
সংক্রমিত হয়েছে,
এর মধ্যে
মারা গেছে
৫ লাখেরও
বেশি। বিশ্বে মোট
সংক্রমিত মানুষের
এক-চতুর্থাংশেরও
বেশি যুক্তরাষ্ট্রে!
দেশটিতে বুধবার
পর্যন্ত ২৬
লাখ ৩৬
হাজার সংক্রমিত
হয়েছে, মৃত্যুবরণ
করেছে ১
লাখ ২৭
হাজারেরও বেশি। দেশটি
মাসের পর
মাস বৈশ্বিক
মহামারীর কেন্দ্রস্থল
ছিল।
এপ্রিল ও মে
মাসে যুক্তরাষ্ট্রে
সংক্রমণের হার
ভারসাম্যের মধ্যে
থাকলেও জুনে
এসে এটি
রীতিমতো ঢেউ
তোলে এবং
প্রতিদিনই নতুন
রেকর্ড হতে
থাকে। এ মুহূর্তে
কিছু কিছু
রাজ্যে সংক্রমণ
স্থিতিশীল এবং
কোথাও কমছে। পাশাপাশি
অনেক রাজ্যে
নতুন উচ্চতায়
পৌঁছেছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য
খাতের বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, অর্থনৈতিক
চাপে লকডাউন
শিথিল কিংবা
পুরোপুরি তুলে
নেয়ার সিদ্ধান্তগুলোই আত্মঘাতী
হয়েছে।
হাউস্টন মেথোডিস্ট হসপিটাল
সিস্টেমের সিইও
মার্ক বুম
গত সপ্তাহে
এপিকে বলেন,
‘মানুষ
আত্মতুষ্টিতে ভুগতে
শুরু করে। তাই
এটা ফিরে
আসছে ও
আমাদের কামড়
দিচ্ছে, সত্য
বলতে এটাই।’
মহামারীর বর্তমান অবস্থা
নিয়ে দুই
শীর্ষ রাজনৈতিক
দল রিপাবলিকান
ও ডেমোক্র্যাটরা
কী ভাবছে,
তাও বের
করে আনার
চেষ্টা করেছে
পিউ। তারা দেখতে
পায়, ৬১
শতাংশ রিপাবলিকান
মনে করছে
মহামারীর খারাপ
সময়টা বিদায়
নিয়েছে, ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে
এমনটা মনে
করে মাত্র
২৩ শতাংশ।
রাজনৈতিকভাবে দ্বিধাবিভক্ত মানুষদের
মতামত যাই
বলুক না
কেন, মহামারীর
খারাপটা এখনো
পেছনে ফেলতে
পারেনি আমেরিকানরা,
কিংবা বাকি
বিশ্বও। প্রাদুর্ভাবের শুরুটা
পাঁচ মাস
হয়ে গেলেও
এখনো বিশ্ববাসী
নিশ্চিন্ত হতে
পারছে না। বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা
বারবার সতর্ক
করে দিয়ে
বলছে, সরকারগুলো
যেন কভিডের
সংক্রমণ কমাতে
সম্ভাব্য সবকিছুই
করে। এ সপ্তাহে
বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার মহাসচিব
টেড্রোস অ্যাডহ্যানম
গেব্রেইসাস বলেন,
‘খারাপ
সময়টা এখনো
আসেনি। আমরা সবাই
চাই এর
সমাপ্তি হোক। কিন্তু
বাস্তবতা হলো
এটি সমাপ্তির
কাছাকাছিও আসেনি। কিছু
কিছু দেশ
উন্নতি করলেও
বিশ্বব্যাপী মহামারী
এখনো দ্রুত
বিস্তৃত হচ্ছে।’
সায়েন্স অজ্ঝালার্ট