স্বাস্থ্য ভবনের সামনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থায়ীভাবে নিয়োগ না দেয়ায় বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ এনে আন্দোলনে নেমেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা। গতকাল মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনের প্রবেশপথে জড়ো হয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। তবে সময় তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানেননি।

আন্দোলনরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের দাবি, নভেল করোনাভাইরাস সংকটের শুরু থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করলেও রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে নিয়োগ পাওয়া টেকনোলজিস্টের তালিকায় তাদের নাম নেই। তালিকা করার সময় বাদ পড়েছেন এমন মেডিকেল টেকনোলজিস্টের সংখ্যা তিন শতাধিক। এদের মধ্যে আইইডিসিআর, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারসহ বিভিন্ন হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবী টেকনোলজিস্টরাও আছেন। মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা এখন সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা শনাক্তে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করছেন। তাই অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা।

কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে কর্মরত একজন টেকনোলজিস্ট বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কুয়েত মৈত্রীতে আমরা প্রথম থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। আমরা ছিলাম চারজন। অথচ আমাদের কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি। নিয়োগ পেয়েছেন বাইরের লোকজন।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী আইইডিসিআরের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শামীম শাহ বণিক বার্তাকে বলেন, আমরা শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছি। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। যেখানে আমাদের চূড়ান্তভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা যেহেতু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছি, সুতরাং কোনো ধরনের নিয়োগ হলে আমাদের অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। কিন্তু সেটা না হওয়ায় আমরা মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা বলছি না, আগের নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্রপতি যাদের নিয়োগ দিয়েছেন, সেটার পাশাপাশি আমাদের অবস্থাটাও বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।

সময় স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সবাইকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। আজকে কর্মসূচিতে তাড়াহুড়োর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে ব্যত্যয় হলেও আগামীতে ব্যাপারে আরো সতর্ক থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন