ইসলামী ব্যাংকের বিরামপুর শাখার ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

দিনাজপুরের বিরামপুরে ইসলামী ব্যাংকের ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় শাখাটিকে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। 

ব্যাংকের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাতে আক্রান্ত হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও আতংকিত। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বলে ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার অভিযোগ।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার শাখাটি লকডাউন ঘোষণা করেন। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী উপস্থিত ছিলেন।

বিরামপুর ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুন ৩ জন কর্মকর্তা ও দুইজন কর্মচারীর করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। গতকাল বুধবার আবারো ৩ জন কর্মকর্তা ও ৩ জন কর্মচারীর কভিড-১৯ আক্রান্ত শনাক্ত হয়। ব্যাংকে ২৪ জন কর্মকর্তা এবং ২১ জন কর্মরত রয়েছেন। ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা এক লাখের বেশি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা এবং কয়েকজন গ্রাহক জানান, গত ২৫ জুন ব্যাংকের ম্যানেজার (অপারেশন) মো. আশেকুর রহমানসহ ৩ জন কর্মকর্তা ও দুইজন কর্মচারীর কভিড-১৯ শনাক্ত হয়। নিয়ম অনুযায়ী করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়ার পর ফলাফল না আসা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তারা নিয়মিত ব্যাংকে উপস্থিত থেকে কাজ করেছেন। এর ফলে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংকে প্রথম করোনা শনাক্তের পর লকডাউনের দাবি জানানো হলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

ইসলামী ব্যাংকের বিরামপুর শাখার ব্যবস্থাপক মো. মোশারফ হোসেন জানান, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি প্রথম থেকেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংক লকডাউনের বিষয়টি প্রশাসনের। পূর্বে প্রশাসন লকডাউন না করায় তাদের করার কিছুই ছিল না। আজ ইউএনও এসে ব্যাংকটিকে ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করে গেছে।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার জানান, আজ থেকে আগামী ১৪ দিনের জন্য শাখাটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নমুনা পরীক্ষার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইসলামী ব্যাংকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নমুনা সংগ্রহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন