হংকং ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, দেশে দেশে নিন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক

হংকংয়ে চীন কর্তৃক বিতর্কিত বিশেষ নিরাপত্তা আইন পাস করায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। বুধবার বিকালে এই আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামা শতাধিক প্রতিবাদকারীকে গ্রেফতার করেছে হংকংয়ের নিরাপত্তা বাহিনী। এদিকে, বেইজিংয়ের এই আইনের বিরুদ্ধে হংকং-বিষয়ক নানা নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ।

নিষেধাজ্ঞার কারণে চীনের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে লেনদেন কিংবা ব্যবসা করলে শাস্তির মুখে পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক। নিষেধাজ্ঞাটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাক্ষর করার আগে সিনেটেরও অনুমোদন পেতে হবে।

১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ সরকার হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর করার সময় চুক্তিতে লিখিত ছিল, ৫০ বছর বিশেষ স্বাধীনতা ভোগ করবে এ নগররাষ্ট্রের মানুষ। কিন্তু নতুন নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ায় এই স্বাধীনতার সমাপ্তি ঘটবে বলে মনে করছেন সমালোচকরা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘এটা নির্দয় আইন, হংকংয়ের মানুষের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন ও ধড়পাকড়ই বলছে, প্রতিশ্রুত স্বাধীনতা ধ্বংস করার অভিপ্রায় এটা।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলছেন, এই আইন পাস ১৯৮৫ সালে সাইনো-ব্রিটিশ যৌথ ঘোষণার ‘পরিষ্কার ও গুরুতর’ লঙ্ঘন। 

সেই ঘোষণার আলোকেই ১৯৯৭ সালে হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন চীনের কাছ থেকে এই অঙ্গীকার নেয়া হয়, ৫০ বছর ধরে বিশেষ স্বাধীনতা ভোগ করবে হংকং এবং এই নগররাষ্ট্রে ‘এক দেশ, দুই নীতি’ চালু থাকবে।

চীন বলছে, ২০১৯ সালে হংকংয়ে যে ধরণের প্রতিবাদ সংঘটিত হয়েছে তা বন্ধ করতেই এমন আইন পাসের দরকার হয়ে পড়ে। 

হংকং নিয়ে অবশ্য বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। পশ্চিমা বিশ্বের ঘোর আপত্তি ও প্রতিবাদ থাকলেও কিউবার নেতৃত্বাধীন অন্তত ৫০টি রাষ্ট্র এই সপ্তাহে জাতিসংঘে চীনের পক্ষ নিয়েছে। 

সূত্র: বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন