‘স্বাধীনতা’ দিবসেই ‘পরাধীন’ হংকং

বণিক বার্তা ডেস্ক

আজ ১ জুলাই ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার ২৩ বছর পূর্তি উদযাপন করছে হংকংয়ের শাসকরা। তবে একই দিন থেকে হংকংবাসীর স্বাধীনতার সূর্য কি অস্তমিতই হয়ে গেল? চীন কর্তৃক পাসকৃত ‘প্রতিবাদ-বিরোধী’ আইনটি আজ থেকেই কার্যকর হচ্ছে। 

নতুন আইনে কোনো ধরনের প্রত্যাহার, ধ্বংস, সন্ত্রাসবাদ কিংবা বিদেশী শক্তির সঙ্গে গোপন চুক্তিকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং আজীবন কারাবাস দেয়া হবে। 

নাগরিকরা ৫০ বছর ধরে সুনির্দিষ্ট কিছু স্বাধীনতা ভোগ করবে, এই শর্তে ১৯৯৭ সালে হংকংকে চীনের হাতে তুলে নেয় ব্রিটিশ সরকার। সমালোচকরা বলছেন, নতুন নিরাপত্তা আইন মূলত ‘হংকংয়ের সমাপ্তি’ ঘটাবে এবং ওইসব স্বাধীনতাও শেষ হয়ে গেল। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ‘হংকংয়ের মানুষের জন্য ৫০ বছরের স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চীন, কিন্তু দেয়া হলো ২৩ বছর।’

হংকংয়ের নেতারা অবশ্য এই আইনকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটা ‘শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ করবে। ২০১৯ সালে একটি বিতর্কিত আইনকে কেন্দ্র করে হংকংজুড়ে সহিংস প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে, যার জেরেই মূলত নিরাপত্তা আইন পাস করল বেইজিং। 

হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বলেন, ‘হস্তান্তরের (ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক) পর কেন্দ্রীয় সরকার ও হংকংয়ের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে এটাকে (নতুন আইন) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

একই সময় বিদেশী সমালোচকদের আক্রমণ করে এক চীনা কর্মকর্তার প্রশ্ন, ‘এ নিয়ে তোমাদের এত মাথাব্যথা কেন?’ স্টেট কাউন্সিলের হংকং ও ম্যাকাও বিষয় অফিসের কর্মকর্তা ঝ্যাং জিয়ামিং বলেন, ‘আমরা চীনার কাউকে ভয় পাই না। সেইদিন চলে গেছে যখন আমরা অন্যদের পরামর্শ শুনতাম।’

প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে হাজারো গনতন্ত্রকামী মানুষ চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। কিন্ত ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাসের কারণ দেখিয়ে একত্রে ৫০ জনের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। তবু আজ সকালে কিছু মানুষ ব্যানার নিয়ে রাস্তায় প্রতিবাদ করেন। 

সূত্র: বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন