ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খাবার খরচ হিসেবে ২০ কোটি টাকার যে তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিন।
আজ বুধবার (১ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব নিয়ে কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, জনপ্রতি তিনবেলা, খাবার খরচ হিসেবে বরাদ্দ ছিল পাঁচশ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে গত দুই মাসে এই হাসপাতালের কভিড-১৯ আক্রতান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া চিকিৎসকসহ অন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের থাকা খাওয়ার হিসাব দেন তিনি।
তিনি বলেন, দুই হাজার ২৭৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীদের একমাসে হোটেলে থাকা-খাওয়া বাবদ খরচ হয়েছে ভ্যাট ছাড়া ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা। আর ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ খরচ পড়েছিল ১৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৭ টাকা।
ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক জানান, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের দুই মাস হোটেলে থেকে থাকা খাওয়া ও পরিবহনের খরচ ২৬ কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা।
এর বাইরে দুই হাজার ২৭৬ জন জনের যাতায়াতে একমাসে খরচ হয় ৪৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭০ টাকা।
এর আগে একমাসের খরচ হিসেব করে দুই মাসের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক বিল্লাল আলম বলেন, সংবাদ মাধ্যমে চিকিৎসকেরা এক মাসে ২০ কোটি টাকার খাবার খেয়েছেন এই প্রচারে হতোদ্যম হয়ে পড়েছেন। এটা তাদের আহত করেছে। স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি হয় এবং তার সঙ্গে চিকিৎসকরা যুক্ত নন জানিয়ে তিনি বলেন, এসব দুর্নীতির তদন্ত হোক, প্রতিকার হোক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক আহমেদুল কবির বলেন, তারা কভিড রোগীদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক, নার্সসহ সব শ্রেণির কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের ঠিকানা ও ফোন নম্বর দিয়ে খোঁজ নিতে বলেন।