নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাবে রেস্টুরেন্টগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ডেলিভারোর প্রধান উইল শু বিবিসিকে একথা জানান।
শু বলেন, শিগগিরই যদি বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হয়, তবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে আরো অনেক দিন রেস্টুরেন্ট চালিয়ে যেতে হবে।
কভিড-১৯-এর ফলে ডেলিভারোর নতুন যুগ শুরু হলো।
বিবিসির টুডে প্রোগ্রামে ডেলিভারো প্রধান বলেন, আমরা ডেলিভারো চালুর পর থেকেই গ্রাহকদের অনলাইন প্লাটফর্ম এবং আমাদের অ্যাপ ব্যবহার অবিশ্বাস্য রকমভাবে বেড়েছে।
তবে আমি মনে করি, কভিড-১৯ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ভোক্তা আচরণ এক থেকে তিন বছর এগিয়েছে।
অন্যদিকে আমাদের রেস্টুরেন্ট অংশীদারদের ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আগামী ৪ জুলাই থেকে ইংল্যান্ডের রেস্টুরেন্টগুলো চালু হলেও সেখানে সামাজিক দূরত্বের নীতিমালা কার্যকর থাকবে।
এতে ফুড ডেলিভারির চাহিদা বাড়বে বলে মনে করেন শু।
ডেলিভারো প্রধান আরো মনে করেন, রেস্টুরেন্টগুলো যাতে নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে লাভজনকভাবে কাজ পরিচালনা করতে পারে, সেজন্য ডেলিভারোর মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর আরো ভালো প্রযুক্তি নিয়ে আসা উচিত।
মহামারী চলাকালে আতিথেয়তা খাত যেভাবে ধুঁকছিল, সে বিষয়ে আগেই আওয়াজ তুলেছিল ডেলিভারোর মতো প্রতিষ্ঠান।
জুনের শুরুর দিকে অংশীদার রেস্টুরেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে এক যৌথ চিঠিতে এ খাতে ঝুঁকি এবং ভবিষ্যৎ কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করা হয়।
তারা রেস্টুরেন্টের খাবারে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাতিল এবং কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে যতদিন পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বহাল থাকবে ততদিন পর্যন্ত রেস্টুরেন্টগুলোকেও জব রিটেনশন স্কিমের আওতায় আনার দাবি তোলা হয়।
আগামী জুলাই থেকে চালু হওয়া পাব, রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফেগুলোর জন্য বেশকিছু নীতিমালা বেঁধে দিয়েছে সরকার।
সম্ভাব্য কভিড-১৯ সংক্রমণের গতিবিধি নির্ধারণে গ্রাহকদের তথ্যাদি সংরক্ষণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে রেস্টুরেন্টগুলোকে।
এছাড়া গ্রাহকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তারা যেন আগে বুক করে রেস্টুরেন্টে যান এবং অ্যাপের মাধ্যমে তাদের নির্ধারিত টেবিলে নিজেদের খাবার ও পানীয় গ্রহণ করেন।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাত্কারে ডেলিভারোর প্রধান শু বলেন, সম্প্রতি যদিও যুক্তরাজ্যে তাদের গ্রাহকভিত্তি সম্প্রসারিত হয়েছে, তবে আতিথেয়তা খাত এখনো লাভজনক প্রমাণিত হয়নি।
এ ব্যবসা শক্তিশালী করতে আমাদের আরো বিনিয়োগ প্রয়োজন।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিযোগিতা তদারকি সংস্থাটি জানায়, খাদ্য সরবরাহ সেবায় আমাজনের বিনিয়োগ পরিকল্পনায় তারা তেমন উদ্বিগ্ন নয়।