টানা চার কার্যদিবস ধরে কমতির দিকে থাকার পর অবশেষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মালয়েশীয় পাম অয়েলের দাম।
সর্বশেষ কার্যদিবসে পণ্যটির দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়েছে।
খবর রয়টার্স ও ইকোনমিক টাইমস।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে সর্বশেষ কার্যদিবসে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন পাম অয়েলের দাম দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৩৫৪ রিঙ্গিত (মালয়েশীয় মুদ্রা) বা ৫৫০ ডলার ৩৯ সেন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ নিয়ে টানা চার কার্যদিবস পর পণ্যটির দাম বাড়ল।
কুয়ালালামপুরভিত্তিক ট্রেডাররা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম কমতির দিকে ছিল।
এ কারণে পাম অয়েলের দামও ছিল নিম্নমুখী।
গতকাল অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে।
এর প্রভাব পড়েছে মালয়েশীয় পাম অয়েলের দামেও।
একই সঙ্গে মুদ্রাবাজারে মালয়েশীয় রিঙ্গিতের বিনিময়মূল্য আগের তুলনায় কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে।
দেশটির বাজারে পাম অয়েলের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে এটাও বড় একটি কারণ।
টানা দরপতন এড়িয়ে সর্বশেষ কার্যদিবসে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে সয়াবিন তেলের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে চীনের ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে দশমিক ৫৩ শতাংশ।
এ দুই বাজারে সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধির জের ধরে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের দাম বেড়ে গেছে।
তবে রয়টার্সের পণ্যবাজারবিষয়ক বিশ্লেষক ওয়াং তাও জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটা কম রয়েছে। বিশেষত নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী পণ্যটির চাহিদায় পতন ঘটিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী দিনগুলোয় মালয়েশীয় পাম অয়েলের দাম কমে আসতে পারে। পণ্যটির দাম দাঁড়াতে পারে টনপ্রতি ২ হাজার ২৮৩ ডলারের আশপাশে।