কভিড-১৯ সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ওমেরা পেট্রোলিয়ামকে প্রায় ২ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। প্রতিষ্ঠানটির ফার্স্ট ট্র্যাক সাপোর্ট প্রকল্প থেকে এ অর্থায়ন করা হবে। মূলত এলপিজি আমদানি ঋণ পরিশোধে ওমেরা এ অর্থ ব্যবহার করবে বলে জানা গিয়েছে। বিনিয়োগ, স্টোরেজ ও ফিলিং ক্যাপাসিটি বিবেচনার ভিত্তিতে ওমেরা পেট্রোলিয়ামকে দ্বিতীয়বারের জন্য এ ঋণ সুবিধা দিতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আইএফসি।
এ ঋণ সহায়তা নিয়ে গতকাল ওমেরা পেট্রোলিয়ামের সঙ্গে আইএফসির একটি বিনিয়োগ চুক্তি সই হয়েছে। আইএফসির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি চিফ (চলতি দায়িত্ব) নুজহাত আনোয়ার ও ওমেরার পক্ষে ওমেরা এলপিজির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আকতার হোসেন সান্নামাত এ চুক্তিতে সই করেন।
ওমেরা জানিয়েছে, বর্তমানের অর্থনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জিং সময়ে এলপিজি আমদানির জন্য ওমেরার পরিচালন কার্যক্রম শক্তিশালী করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান বজায় রাখা এবং বৈদেশিক মুদ্রায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে এগিয়ে এসেছে আইএফসি। এজন্য বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগের জন্য বরাদ্দকৃত ৮ বিলিয়ন ডলারের তহবিল থেকেই ওমেরাকে এ অর্থায়ন করতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
এ বিষয়ে আকতার হোসেন সান্নামাত বলেন, আইএফসির এ বিনিয়োগ ওমেরার জন্য খুবই উল্লেখযোগ্য। এটি কোম্পানির উৎপাদন ও বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে আইএফসির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব খুবই দৃঢ়। আমরা আইএফসির সামাজিক ও পরিবেশগত দায়বদ্ধতা প্রতিপালনে সর্বদা প্রতিশ্রুতবদ্ধ। এতে সারা দেশে, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর সহজলভ্যতা নিশ্চিত হবে। আইএফসির এ ঋণের মাধ্যমে আমাদের এলপিজি সরবরাহের সক্ষমতা দ্বিগুণ হবে এবং প্রায় প্রত্যেক উপজেলায় এর প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে।
প্রসঙ্গত, ওমেরা এলপিজি এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি। ২০১৫ সালে এফএমও ও বিবি এনার্জির যৌথ উদ্যোগে যাত্রা করে ওমেরা। বর্তমানে ওমেরার চারটি এলপিজি উৎপাদন কারখানা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান টার্মিনাল মোংলায় অবস্থিত। প্রায় ১০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টোরেজ ব্যবস্থা, দৈনিক ৬০ হাজার সিলিন্ডার রিফিলিংয়ের সক্ষমতা, তিনটি এলপিজি বহনকারী অত্যাধুনিক বার্জ ছাড়াও ৩৪টি রোড ট্যাংকার রয়েছে ওমেরার। ২০১৯ সাল থেকে ভারতে এলপিজি রফতানি করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
