‘বেসিস জাপান ডেস্ক’
নামে নতুন একটি সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), যা দেশের সফটওয়্যার ও আইটিইএস খাতকে জাপানে বাজার সম্প্রসারণে কাজ করবে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে সেবাটির উদ্বোধন করেন।
ভার্চুয়াল এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশ দূতাবাস টোকিওর কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. আরিফুল হক ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান ও পুনর্গঠনে জাপানের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উভয় দেশের পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেসিস জাপান ডেস্কের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, জাপানের বাজারে আমাদের ব্যবসা প্রসারের জন্য জাপানি ভাষা ভালোভাবে রপ্ত করা প্রয়োজন।
এজন্য তরুণ উদ্যোক্তাদের জাপানি ভাষা শেখার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, সফটওয়্যার একটি অদৃশ্য পণ্য হলেও সবসময় এমনকি করোনা মহামারীর এ সময়ও এর প্রয়োজনীয়তা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আগামীতে তথ্যপ্রযুক্তি খাত দেশের সবচেয়ে বড় রফতানি খাত হিসেবে পরিচিতি পাবে এবং এ খাতে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বেসিস জাপান ডেস্কের পাশাপাশি জাপানের টোকিওতেও একটি বাংলাদেশ ডেস্ক খোলার ব্যাপারেও অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তিনি বেসিসের প্রতি আহ্বান জানান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রস্তাব আকারে পেশ করার জন্য বেসিস সভাপতিকে পরামর্শ দেন এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জাপান বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের প্রকৃত উন্নয়নে বেসিস জাপানের আইটি মার্কেট অন্বেষণ এবং বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের সুবিধার্থে গত কয়েক বছর ধরে কাজ করছে।
বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে জাপানে বাংলাদেশের আইটি শিল্পের রফতানি বাড়িয়ে তুলতে এ ডেস্ক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
জাপানের আইটি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে বেসিস কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বেসিস জাপানের বাজারে বাংলাদেশী আইটি কোম্পানিগুলোর অবস্থান ও আস্থা তৈরিতে গত কয়েক বছর ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বেসিস জাপান ডেস্কের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, বেসিস জাপান ডেস্ক জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার একটি কার্যকরী মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
এরই মধ্যে প্রায় ৭০টি বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠান জাপান ডেস্কে মাসিক ফি প্রদানের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ ডেস্ক বেসিস সদস্যদের জাপানে ব্যবসা সম্প্রসারণে এবং জাপানি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশ অফশোর ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্থাপনে উৎসাহিত করবে।