সরকারের উদ্দেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আর কত ভয় দেখাবেন? আর কত বিরোধী দল, বিরোধী মতের ওপর নির্যাতন করে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়ে হুমকি দেখাবেন? আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে, জনগণ রুখে দাঁড়াবে। আমরা আমাদের কর্তব্য থেকে বিচ্যুত হব না।
জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত উত্থাপিত বিলের প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ‘বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করা যাবে না’ শীর্ষক ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিত আনজুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজিএম শামসুল হকের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন নতুন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম নকি ও দপ্তর সম্পাদক এবিএমএ রাজ্জাক।
রিজভী বলেন, আমাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। ত্রাণ দিতে গিয়েছি, ত্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষের ছায়া যখন নেমেছে। এর পরও চলছে এ পরিস্থিতি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না, প্রতিবাদ করা যাবে না—এমন কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা জানি আমাদের ওপর আঘাত এসেছে, বছরের পর বছর কারাগারে থেকেছি। কিন্তু তার পরও আমাদের কণ্ঠকে রুদ্ধ করা যায়নি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল পাস হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে এ বিএনপি নেতা বলেন, ভৌতিক বিল আসছে। অসহায় মধ্যবিত্ত মানুষ হাহাকার করছে। বলা হচ্ছে, চাহিদার চেয়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি উৎপাদন করা হয়েছে। তাহলে এই যে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি উৎপাদন করা হয়েছে, এর বেশির ভাগ রেন্টাল-কুইক রেন্টালের। অর্থাৎ এসব কেন্দ্রের ভাড়া দিতে হচ্ছে সরকারকে এবং বেশি দামে তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে সরকারকে। এ টাকা কে দিচ্ছে? এ টাকা জনগণের পকেট থেকে নিয়ে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। তাহলে কীসের উন্নয়ন? জনগণকে পিষ্ট করা হবে আর মানিকগঞ্জে খাবার না পেয়ে সন্তান বিক্রি করছে মা। এই হচ্ছে পরিস্থিতি, এটা চলতে পারে না।
