অনেকেই ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে নভেল করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে ভিটামিন ডি খেয়ে আসছিলেন। এবার এই ভ্রান্তি দূর করলেন যুক্তরাজ্যের জনস্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা। তারা জানিয়ে দিলেন, ভিটামিন ডি কভিড-১৯ প্রতিরোধ করতে পারে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।
যুক্তরাজ্যে দেখা যায়, নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অপেক্ষাকৃত বেশিসংখ্যায় মারা যাচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় ও সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর মানুষ।
মূলত এ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েই কভিড-১৯ মোকাবেলার সঙ্গে ভিটামিন ডির কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অবশ্য চামড়ায় উচ্চহারে মেলানিন থাকলে তা সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি শোষণ কম করে থাকে।
যাই হোক, এ নিয়ে গবেষকরা মাঠে নেমে পড়েন।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সিলেন্স (নাইস) পাঁচটি গবেষণা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, কভিড-১৯ মোকাবেলায় ভিটামিন ডি কোনো ধরনের সাহায্য করে, এমন কিছু তারা খুঁজে পাননি।
নাইসের গাইডলাইন সেন্টারের পরিচালক পল ক্রিস্প বলেন, ‘স্বাস্থ্যগত অনেক উপকার ভিটামিন ডি করে থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই যা কভিড-১৯ মোকাবেলায় ভিটামিন ডির কার্যকারিতা খুঁজে পেয়েছে।
আমরা জানি, এমন গবেষণা চলমান এবং নতুন যেসব গবেষণা চলছে তার ওপর নজর রাখছে নাইস।’
ঠিক একই সময় দ্য সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি কমিটি অন নিউট্রিশন (এসএসিএন) একই ধরনের উপসংহার টেনে বলেছে, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বলে না যে শ্বাসযন্ত্রের জটিলতাজনিত কোনো রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ডি কার্যকর।
তবে লকডাউনের সময় মানুষ বেশি পরিমাণে সূর্যালোক পায় না বলে নাইস ও এসএসিএন পরামর্শ দিচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষ যেন প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রামের একটি করে ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খান, এতে তাদের হাড় ও মাংসপেশি ভালো থাকবে।
দ্য গার্ডিয়ান