চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান নিয়ে প্রতিক্রিয়া

ফিচার প্রতিবেদক

তথ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সরকারি অনুদান বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছে তবে অনুদান দেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র সংগঠন তাদের দাবি অনুযায়ী প্রক্রিয়া স্বচ্ছ চলচ্চিত্রের বিকাশ সাধনে হয়নি

রোববার বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষুব্ধ সংগঠনগুলো বিজ্ঞপ্তিতে হতাশা প্রকাশ করে উল্লেখ করা হয়, আমার হতাশা ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করছি চলচ্চিত্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সরকারি অনুদানের জন্য যে চলচ্চিত্র পরিচালকদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং অনেকেরই চলচ্চিত্র পরিচালনার ন্যূনতম অভিজ্ঞতা নেই সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ শৈল্পিক চলচ্চিত্র নির্মাণের যে অঙ্গীকার অনুদান নীতিমালায় সন্নিবেশিত রয়েছে, ঘোষণা তার ব্যত্যয় বলেই তারা মনে করছেন


এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান নিয়ে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে তখনো অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তবে ক্ষুব্ধ চলচ্চিত্র সংগঠনের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরই তা উপেক্ষা করে নিজেদের স্বেচ্ছাচার অব্যাহত রেখেছেন এমনকি যে চূড়ান্ত কমিটি অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র নির্বাচন করে, চলচ্চিত্র বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সংগঠনগুলো

সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বক্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম, বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটি, বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ, বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট ফিল্ম উইদাউট ফিল্ম সংহতি প্রকাশ করেন তারা উল্লেখ করেন, চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী গণ শিল্পমাধ্যম, যা রাষ্ট্রের স্বপ্ন, সংবেদ জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠতে পারে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের স্থূল বিকৃত বিনোদনের প্রসার জনগণের অর্থে কোনো অবস্থায়ই সঠিক নয় বলে আমরা মনে করি প্রজ্ঞাপনে পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের অনুপস্থিতি বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিরই নামান্তর তারা আশা করেন, সরকার বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করবে

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন