ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ডালরিম্পল দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসচর্চায় জনপ্রিয় একটি নাম।
বাংলাদেশের পাঠকদের কাছেও তার বইপত্র বহুল পঠিত।
ডালরিম্পলের সর্বশেষ প্রকাশিত বই দি অ্যানার্কি: দি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, করপোরেট ভায়োলেন্স, অ্যান্ড দ্য পিলেজ অব অ্যান এম্পায়ার।
এ বইয়ে ইতিহাসবিদ ডালরিম্পল বণিজ্য প্রতিষ্ঠান থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ঔপনিবেশিক শক্তি হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া আলোচনা করেছেন।
প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কাপুর সম্প্রতি দি অ্যানার্কি: দি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, করপোরেট ভায়োলেন্স, অ্যান্ড দ্য পিলেজ অব অ্যান এম্পায়ার বইয়ের স্ক্রিন স্বত্ব কিনে নিয়েছেন।
তার প্রডাকশন হাউজ রায় কাপুর ফিল্মস এ স্বত্ব কিনেছে।
নির্মাতা, প্রযোজক সিদ্ধার্থ ডালরিম্পলের এ নন-ফিকশন বইটি অবলম্বনে সিরিজ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন।
টেলিভিশন অথবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সেটা মুক্তি দেয়া হবে।
সম্প্রতি ডেডলাইনকে সিদ্ধার্থ বলেছেন, বিভিন্ন দেশের লেখকদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করাটা দারুণ অভিজ্ঞতা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতীয় লেখকরা একসঙ্গে বসে কাজ করবেন।
‘এ রকম বড় কাজে ভারতীয় লেখকরা স্থানীয় প্রেক্ষিত, গঠন, আবহ ও চরিত্র তুলে আনতে পারবেন।
অন্যদিকে পশ্চিমা লেখকদের কাছ থেকেও অনেক সাহায্য পাওয় যাবে এবং তারা এমন কাজে প্রশিক্ষিত।’
দি অ্যানার্কি: দি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, করপোরেট ভায়োলেন্স, অ্যান্ড দ্য পিলেজ অব অ্যান এম্পায়ার বইয়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিবর্তন আলোচিত হয়েছে।
বাণিজ্য সংগঠন থেকে তার সহিংস ও কৌশলী ঔপনিবেশিক শক্তি হিসেবে আবির্ভাব যা তাকে ভারতবর্ষে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় সফল করেছিল।
ডালরিম্পল দেখিয়েছেন, কোম্পানি যে প্রাইভেট মিলিশিয়া বাহিনী দিয়ে ভারত দখল করেছিল, তার আকার ছিল তখনকার ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর দ্বিগুণ।
কোম্পানি যখন মোগল শাসনের পতন ঘটায় লন্ডনে তাদের অফিসটা ছোট একটা ভবনে।
তারা তখন শুধু তাদের শেয়ারহোল্ডারদের কাছে জবাবদিহি করত।
এর আগেও উইলিয়াম ডালরিম্পল কিছু প্রামাণ্যচিত্র ও শো নির্মাণের সঙ্গে কাজ করেছেন।
তবে তার বই অবলম্বনে সিরিজ নির্মাণ এবারই প্রথম।
এর আগে তারা সিটি অব জিনস অবলম্বনে নাটক নির্মিত হয়েছিল।
সূত্র: স্ক্রলইন
