করোনায় প্রতিরক্ষা সচিব ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রীর স্ত্রীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী (৫৭) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হকের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু (৭১) মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন) গতকাল ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী ২৯ মে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি হন। গতকাল সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বাদ আসর স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়ে রেখে গেছেন।

আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী গত ১২ জানুয়ারি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। ১৫ জুন তিনি সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি পান।

আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী জানুয়ারি ১৯৬৩ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ৮৫ ব্যাচের সদস্য হিসেবে ১৯৮৮ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিজীবনের শুরুতে তিনি সহকারী কমিশনার ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি মত্স্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারের উচ্চপদস্থ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ছিলেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগদানের আগে তিনি পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে কর্মরত ছিলেন।

এদিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ জানান, কয়েক দিন আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক তার স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানুর দেহে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দেয়। নমুনা পরীক্ষায় ১২ জুন তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরদিন দুজনকেই ঢাকায় সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে এলেও তার স্ত্রী সুস্থ না হওয়ায় সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রোববার তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল পৌনে ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

লায়লা আরজুমান্দ বানু ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শেখ মোবারক জান এবং মায়ের নাম লাল বানু। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, এক ছেলে দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল বাদ জোহর গাজীপুর নগরীর বায়তুল মোয়াজ্জম (গোরস্তান) জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রীয় গোরস্তানে দাফন করা হয়। মন্ত্রীর ছেলে এটিএম মাজহারুল হক তুষার তার মায়ের জানাজায় ইমামতি করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন