এবার ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল বিড়ম্বনায় সিনিয়র সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহামারীর কারণে এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত গ্যাস বিদ্যুতের বিল বিনা জরিমানায় পরিশোধের সুযোগ দিয়েছিল সরকার। কিন্তু বিলের কাগজ হাতে পাওয়ার পর গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ। বিল পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে- এমন হুমকি মাথায় নিয়ে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করেছেন গ্রাহকরা। 

যদিও পরবর্তীতে এই বিল সমন্বয় করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রতি সাধারণ গ্রাহকের আস্থা বহু আগেই উঠে গেছে। ফলে এই প্রতিশ্রুতিতে কেউ বিশ্বাস করেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহু গ্রাহক ক্ষোভ জানিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমেও একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। 

এবার এই বিড়ম্বনার কবলে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝেরেছেন সরকারের এক সিনিয়র সচিব। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। নিজের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে লিখেছেন, ‘এ কি হচ্ছে?? বিদ্যুৎ (ডিপিডিসি) কোম্পানির এ কোন অত্যাচার? মার্চ এপ্রিলের দুই মাসের অত্যধিক বিল দেখে ফোন দিলাম মিটার রিডারকে দেখে বিল করেছে কিনা? বললো করোনার জন্য রিডিং নেয়নি, কম্পিউটার অটো জেনারেট করেছে, পরের মাসে রিডিং দেখে ঠিক বিল সমন্বয় করে দেবে। রিডিং নিল। পরের মাসে মানে মে মাসসহ বিল এলো। মে মাসের পূর্ণ বিল, মার্চ এবং এপ্রিল যোগ করলে সর্বমোট বিল হয় ৫০৯০.৩৭। কিন্তু সর্বমোট পরিশোধ যোগ্য বিল দেখাল ৭৪৭৫ টাকা, অতিরিক্ত বিল করলো ২৩৮৪ দশমিক ৬৩ টাকা। আমার বিল্ডিং-এর ১১টি বিলে এভাবে বেশি করা হয়েছে ২৫,০০০ টাকা। 

তিনি লিখেছেন, গ্রাহকদের এই অত্যাচার দেখার কি কেউ নেই? করোনার পূর্বেও এরকম ভূতুরে বিলের জন্য আপত্তি জানিয়েছি, সহজে প্রতিকার পাওয়া যায় না। লোড শেডিংমুক্ত হওয়ার যে কৃতিত্ব সরকারের তা ম্লান হচ্ছে। জনরোষ যাচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে। উঁচু মহল বিষয়টা দেখা উচিত। আমার বিল এলাকা আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। দয়াকরে বিল দেখুন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ড. শামসুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, এমনিতেই করোনা মহামারীর কারণে মানুষ নানাভাবে বিপদগ্রস্ত, আর্থিক ও মানসিকভাবে।  এর মধ্যে সেবা প্রতিষ্ঠানের বিল নিয়ে এরকম স্বেচ্ছাচারিতা সরকারের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। একই সঙ্গে এটি জনস্বার্থের পরিপন্থীও।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন