পর্যালোচনা

বাজেটে কৃষি খাতের বরাদ্দ বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে

ড. মো. সাইদুর রহমান

গত ১১ জুন মহান জাতীয় সংসদে মাননীয় অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ৪৯তম জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, মুজিব বর্ষ উদযাপন, উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়া করোনা মোকাবেলায় সরকারের লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের (,১০,৫৭৭ কোটি টাকার) চেয়ে ১৩ দশমিক শতাংশ বেশি এবং ওই বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার চেয়ে দশমিক শতাংশ বেশি। বাজেটের আয় লাখ ৮৩ হাজার ১৩ কোটি টাকা, যা গত বছরের সংশোধিত বাজেটের (,৫১,৫২৩ কোটি টাকা) চেয়ে দশমিক শতাংশ বেশি। ব্যয় নির্বাহে ঘাটতি লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের ঘাটতি লাখ ৫৩ হাজার ৫০৮ কোটি টাকার চেয়ে ২৩ দশমিক শতাংশ বেশি। ওই ঘাটতি বৈদেশিক সাহায্য অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং খাত থেকে সরকার ধার করে পরিচালনা করবে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সরকারের বরাদ্দ লাখ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা, যা গত বছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে দশমিক শতাংশ বেশি। করোনার কারণে বাজেটে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি দশমিক শতাংশ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি দশমিক শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে। এছাড়া বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে দশমিক শতাংশ। করোনার প্রকোপ না কমলে প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি অর্জন হওয়া দুষ্কর হবে বলে অর্থনীতিবিদদের ধারণা।

করোনা পরিস্থিতিতে কৃষি খাতে ২৯ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ২৭ হাজার ১৮ কোটি টাকার চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি। তবে তা ওই বছরের প্রস্তাবিত ২৮ হাজার ৩৫১ কোটি টাকার চেয়ে মাত্র দশমিক শতাংশ বেশি। কৃষি খাতের বাজেটে পাঁচটি মন্ত্রণালয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং সেগুলো হলো কৃষি মন্ত্রণালয়, যার বরাদ্দ ১৫ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা, যা গত বছরের বরাদ্দের চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি; মত্স্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, যার বরাদ্দ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা, যা গত বছরের বরাদ্দের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি; পরিবেশ বন মন্ত্রণালয়, যার বরাদ্দ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা, যা গত বছরের বরাদ্দের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি; ভূমি মন্ত্রণালয়, যার বরাদ্দ হাজার ১৫ কোটি টাকা, যা গত বছরের বরাদ্দের চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, যার বরাদ্দ হাজার ৮৯ কোটি টাকা, যা গত বছরের বরাদ্দের চেয়ে শূন্য দশমিক শূন্য শতাংশ কম। কৃষি খাতে পরিচালন বরাদ্দ ১৯ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা, উন্নয়ন বরাদ্দ ১০ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় মোট বরাদ্দের ৩৪ শতাংশ, গত অর্থবছরে যা ছিল মোট বরাদ্দের ৪০ শতাংশ। সংখ্যাতাত্ত্বিক বিচারে কৃষি খাতে উন্নয়ন বরাদ্দ কমানো হয়েছে দশমিক শতাংশ। মোট বরাদ্দ উন্নয়ন বরাদ্দ উভয়ই সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে মত্স্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাজেটে, যার বৃদ্ধির পরিমাণ যথাক্রমে ২৬ ৫৬ দশমিক শতাংশ। বৃদ্ধির হার আগের যেকোনো অর্থবছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। আশা করা যায়, করোনা মোকাবেলায় বাজেটে সংশ্লিষ্ট খাতে বর্ধিত বরাদ্দ প্রাণিজ উৎস থেকে পুষ্টি চাহিদা মেটাতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া মত্স্য প্রাণিসম্পদ খাতে গ্রামীণ কর্মসংস্থান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পাবে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক দিক।

বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকার কৃষিতে আগাগোড়াই বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। কভিড-১৯ মোকাবেলায় লাখ হাজার ১১৭ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে, যার মধ্যে হাজার কোটি টাকা শতাংশ সুদে শুধু কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য। সরকার অর্থবছর সব খাতে মোট ৩৮ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা ভর্তুকির প্রস্তাব করেছে, যা গত বছরের সংশোধিত বাজেটের ৩১ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকার চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। ওই ভর্তুকির ২৪ দশমিক শতাংশই প্রদান করা হয়েছে কৃষি খাতে, যার পরিমাণ হাজার ৫০১ কোটি টাকা, যা গত বছরের সংশোধিত বরাদ্দ হাজার কোটি টাকার চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি। বাড়তি বরাদ্দের মধ্য দিয়ে সরকার কৃষিকে যে গুরুত্বসহকারে দেখেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট হাজার ২১০ হাজার টন চাল-গম ক্রয় করা হবে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। টাকার হিসাবে ওই চাল-গম ক্রয় করা হবে ১৩ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকার, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যয়ের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। মোট চাল-গম ক্রয়ে ব্যয়ের হিসাবে দেখা যায় যে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে চাল ক্রয়ে ৬৮ দশমিক শতাংশ এবং গম ক্রয়ে দশমিক শতাংশ ব্যয় করা হবে। অন্যান্য দেশ থেকে খুব কম পরিমাণ চাল আমদানি করা হলেও গম আমদানিতে সরকার বেশি ব্যয় করে।

কৃষি খাতে সার্বিক বরাদ্দ বাড়েনি, বাড়েনি উন্নয়ন খাতেও কৃষির বরাদ্দ। তার পরও কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক। করোনায় প্রমাণিত হয়েছে যে কৃষিই বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে মজবুত জায়গা। এটা প্রমাণিত যে বন্যা, খড়া, ঘূর্ণিঝড় যদি কৃষিকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না করে তাহলে কৃষি তার জোগান প্রাক্কলিত হারেই দিয়ে যায়। বহুল জনসংখ্যার দেশকে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহে তেমন কোনো অসুবিধায় পড়তে হয় না। আর সে কারণে স্বাভাবিকভাবে কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই কৃষিতে একটু বেশি বরাদ্দ আশা করে, যার প্রতিফলন এবারের বাজেটেও রয়েছে। তবে করোনাকে মোকাবেলা করার জন্য প্রত্যাশা স্বাভাবিকভাবেই আরো একটু বেশি।

বাজেটে শস্য খাতে আমদানি, রফতানি সরবরাহের বিপর্যস্ত হওয়ার বিষয় উল্লেখ করে বোরো ধান কর্তনে অনিশ্চয়তা দূর করা হয়েছে। গম আমদানির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা এবং সবজি সরবরাহ ঠিক রাখতে সবজি বাজারজাতে উৎসাহ দিতে সরকার ব্যবস্থা নেবে। কৃষি খাতে ভর্তুকি, সার, বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণে প্রণোদনা সহায়তা কার্ড, কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং স্বল্প সুদে সহজ শর্তে বিশেষ কৃষিঋণ সুবিধা প্রদান অব্যাহত রাখা হবে। বর্তমানে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারী কৃষকের সংখ্যা কোটি লাখ ১৩ হাজার ৪৪৭, যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বেশি।

বাজেটে বিগত সময়ে ১০৯টি জলবায়ু সহনশীল জাত উদ্ভাবনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শস্য বহুমুখীকরণ, ফসল সংগ্রহোত্তর ক্ষতি কমানো, খামার যান্ত্রিকীকরণ জোরদারকরণ এবং বাস্তবায়নের জন্য আগামী অর্থবছর হাজার ১৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ, কৃষি পুনঃঅর্থায়ন স্কিমে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা, রাসায়নিক সারসহ অন্য সব ক্ষেত্রে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার ঘোষণা সরকারের অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

বাজেটে দেশে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মিঠা পানির মাছের নতুন জাত উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া, সামুদ্রিক মত্স্য সম্পদ আহরণে নতুন প্রযুক্তি উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ, প্রস্তাবিত সামুদ্রিক আইন, ২০২০ অনুমোদনের পদক্ষেপ গ্রহণ তার সঠিক বাস্তবায়ন, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য জাহাজ সংগ্রহের প্রকল্প গ্রহণ, ব্লু ইকোনমির সুফল পাওয়ার জন্য গভীর সমুদ্রে জেলেদের ব্যবহূত ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালিং উপকরণে আমদানি শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব এবং বেসরকারি খাতেও গভীর সমুদ্র থেকে মাছ সংগ্রহের পৃষ্ঠপোষকতার ঘোষণা সামুদ্রিক মাছ আহরণের অপার সম্ভাবনাকে আরো বেগবান করবে।

প্রাণিসম্পদ খাতে বিশেষ করে গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি ইত্যাদি পালনে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। ডিম দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে উৎপাদন গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, ডিম-দুধ বাজারজাতে সরকারি সহযোগিতা বৃদ্ধি, নতুন জাত প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণায় এবং প্রশিক্ষণে অনুদান বৃদ্ধির পদক্ষেপ কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনাময় প্রাণিসম্পদ খাতকে নিঃসন্দেহে গতিসঞ্চার করবে। এছাড়া কৃষি, মত্স্য, প্রাণিসম্পদ খাদ্যনিরাপত্তায় গৃহীত কার্যক্রম চালু রাখার জন্য বাজেটে ২২ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের চেয়ে দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। কৃষি কৃষিসংশ্লিষ্ট উৎপাদন সেবা, ক্ষুদ্র ব্যবসা কুটির শিল্প ইত্যাদি খাতে দরিদ্র কৃষক, প্রবাসী শ্রমিক এবং প্রশিক্ষিত যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদানের প্রস্তাব করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে আশাবাদী করে তুলেছে। সাপ্লাই চেইনকে আরো নির্বিঘ্ন করার জন্য ১৯৫টি গ্রোথ সেন্টার বা হাটবাজার উন্নয়ন করা, ১৯টি পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ১২ কোটি জনদিবস প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন চাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর শতাংশ থেকে শতাংশে নামিয়ে আনা, পোলট্রি শিল্পের বিকাশের জন্য তাদের খাদ্যে ব্যবহূত কাঁচামাল আমদানিতে আয়কর শতাংশে নামিয়ে আনা, দেশে উৎপাদিত আলু থেকে পটেটো ফ্লেক্স তৈরিতে এবং ভুট্টা ব্যবহার করে স্থানীয় পর্যায়ে স্টার্চ উৎপাদনে মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে শতাংশে হ্রাস করা হবে, যা অত্যন্ত ফলপ্রসূ পদক্ষেপ। অন্যদিকে পেঁয়াজচাষীরা যেন ন্যায্যমূল্য পান, মধুচাষীদের স্বার্থ সংরক্ষণে এবং পোলট্রি খাতের প্রতিরক্ষণে প্রক্রিয়াজাত মুরগির অংশবিশেষসহ সংশ্লিষ্ট সব আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে অবশ্যই উৎসাহিত করবে।

সব শেষে কৃষির বিভিন্ন সেক্টর যেমন শস্য, মত্স্য গবাদি পশু বীমা চালু করার উদ্যোগ কৃষক, জেলে, খামারিসহ সংশ্লিষ্ট সেক্টরে বিনিয়োগকারীদের বিশেষভাবে উজ্জীবিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপরোক্ত বিশ্লেষণ থেকে উপসংহারে আসা যায় যে সরকারের বাজেটে উল্লিখিত ইতিবাচক প্রস্তাবনার যথাযথ বাস্তবায়ন হলে দেশের কৃষি, কৃষক কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই উপকৃত হবে। তবে নভেল করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা মোকাবেলার জন্য আরো কিছু পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন ছিল, যা প্রচারমাধ্যম বিভিন্ন বিশেষজ্ঞর আলোচনায় উঠে এসেছে। সেগুলো হলো: কৃষিদ্রব্যের সর্বনিম্ন মূল্য ঘোষণা, ধান-চাল ক্রয় সংগ্রহ আরো বাড়ানো, কৃষকদের উৎসাহ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার মন্ডল প্রস্তাবিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরকৃষক উদ্দীপন ফান্ডনামে কৃষকদের আবাদি জমির বিপরীতে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা এবং কৃষি শিক্ষা গবেষণায় হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ। এসব করা হলে কভিড-১৯-এর বিপর্যয় ঠেকানো যেত বলে আশা করা যায়। এছাড়া কৃষির সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী কৃষি কমিশন থাকা প্রয়োজন, যারা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে এবং বিভিন্ন দেশের কৃষিপণ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে আগাম প্রক্ষেপণ সরকারের নীতি প্রণয়নে যথাযথ পরামর্শ দিতে পারবে।

উল্লিখিত সুপারিশগুলো সরকারের চূড়ান্ত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হবে প্রত্যাশা রেখে আসুন আমরা সবাই মিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করি এবং প্রাণঘাতী করোনার রাহুগ্রাস থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করি।

 

. মো. সাইদুর রহমান: অধ্যাপক, কৃষি অর্থনীতি বিভাগ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন