প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী, যা মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং মোট জিডিপির ৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৮১ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা। এ বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আর্থিক লেনদেন সেবা ‘নগদ’। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছর থেকেই সরকার সামাজিক নিরাপত্তা খাতের এ ভাতা বাধ্যতামূলকভাবে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে বিতরণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানি হিসেবে নগদ সরকারকে সব ধরনের সহায়তা দিতে সবসময় প্রস্তুত আছে। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর এক প্রতিক্রিয়ায় এমনটি জানিয়েছে নগদ।
নগদ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত মাসে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও অসহায় মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহারের ২ হাজার ৫০০ টাকা (প্রতি পরিবার) করে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছে নগদ। ৫০ লাখ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের মধ্যে নগদ সর্বোচ্চসংখ্যক ১৭ লাখ পরিবারের কাছে কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই প্রধানমন্ত্রীর দেয়া টাকা পৌঁছে দিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছে।
নগদ বলছে, সরকারের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশন ও ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কথাও বাজেটে বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এক্ষেত্রে অভিমত হচ্ছে, আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশন ও ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বা আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে এমএফএসই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আর রাষ্ট্রীয় সেবা নগদ যেহেতু সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে, সে কারণে একমাত্র নগদের পক্ষেই সম্ভব অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে নিমেষেই সঠিক মানুষটির মোবাইল ফোনে থাকা অ্যাকাউন্টে সরকারি ভাতা/অনুদান পৌঁছে দেয়া।
এরই মধ্যে সরকার বেশকিছু খাতের অনুদান বা ভাতা বিতরণের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) সেবা গ্রহণ করেছে। আর সেসব জায়গায় নগদও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
এ বিষয়ে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক বলেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে দ্রুততার সঙ্গে সরকারি বরাদ্দ বা অনুদান পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে নগদই এখন সরকারের প্রথম পছন্দ।
চলতি বছরের শুরুতে সব সরকারি ভাতা নগদের মাধ্যমে বিতরণের জন্য অনুশাসন প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই অনুশাসন অনুসারে একে একে সব সরকারি সংস্থা কেবল নগদের মাধ্যমে তাদের ভাতা বা অনুদান বরাদ্দ করছে, পুরো বিষয়টিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি থাকছে বলে মনে করেন তিনি। সামনের দিনেও নগদ একইভাবে সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধের জন্য কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মিশুক।
