নিজেদের যে সম্পদ আছে সেগুলোর ওপরই নির্ভর করা উচিৎ

আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী

বাজেটের দিক নির্দেশনাগুলো স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী হওয়া উচিৎ। যেহেতু রফতানি কমে গেছে, আর এ খাতের তৈরি পোশাক শিল্প কর্মসংস্থান ও বিদেশী মুদ্রার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে অনেক শ্রমিক ফেরত আসছে বিধায় রেমিটেন্সও অনেক কমে যাবে। আমরা চাই এই জায়গাগুলোকে সরকার বিবেচনায় নেয়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারমুখি যে শিল্পগুলো আছে সেগুলোর জন্য বিবেচনাও বাজেটে থাকতে হবে। 

আগামী দেড় দুই বছর নিজেদের যে সম্পদ আছে, সেগুলোর ওপরই নির্ভর করা উচিৎ। স্থানীয় বাজার, স্থানীয় অর্থনীতির কুটির, ক্ষুদ্র শিল্পগুলো কিভাবে টেকশই হবে সেই বিষয়ে দিক নির্দেশনা থাকতে হবে। সরকারের যে প্রণোদনা প্যাকেজ আছে অন্তত সেটা যথাযথভাবে বিতরণ করতে হবে। কারণ বিতরণ ছয় মাস পরে করলে কোন লাভ হবে না। 

বিদ্যমান প্রণোদনা প্যাকেজ ঠিক করে দিতে পারলেও নতুন করে এখানে হয়তো আর কিছু দেয়ার প্রয়োজন নাও পড়তে পারে। আর সুষম আঞ্চলিক উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য শুধু ঢাকা বা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীক না করে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত ও অনুন্নত অঞ্চলে বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন উৎসাহিত করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করার মতো দিক নির্দেশনা বাজেটে থাকা প্রয়োজন। 

এছাড়া অবশ্যই স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজানো দরকার, কারণ স্বাস্থ্য খাতটি প্রচন্ড ধাক্কা খেয়েছে। আমরা কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন মানুষের অভাব আমরা দেখলাম, চিকিৎসকের অভাব দেখলাম, আরও অনেক ধরণের অভাব আমরা দেখলাম স্বাস্থ্য খাতে। এইজন্য স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। 

আমাদের সামনে অনেক সম্ভাবনা আছে, সেই সম্ভাবনা শিল্পায়ন প্রেক্ষাপটেও যেমন কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য আছে, হালকা প্রকৌশল আছে, ব্ল- ইকনোমিসহ আরও অনেক সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাগুলোকে আকড়ে ধরে বাস্তবায়ন করতে শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীর দরকার হবে। আর এক্ষেত্রে শিক্ষার এটা বড় ভূমিকা আছে। যার মাধ্যমে পেশাদার ও কারিগরি মানুষের উন্নয়ন করা যাবে। এরজন্য মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় এখন অবশ্য প্রয়োজনীয়। 

- আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী
প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন