বাজেটে কভিড-১৯ মোকাবেলায় থাকছে বিশেষ প্রণোদনা

জেসমিন মলি

কভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে থাকছে বিশেষ প্রণোদনার ঘোষণা। এজন্য রাখা হচ্ছে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ। এছাড়া ফ্রন্টলাইনে থেকে যারা এই মহামারী মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের জন্যও ৮০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এসব বরাদ্দ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখা ২৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার বাইরে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

অর্থ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯ কতদিন স্থায়ী হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আগামীতে করোনার প্রভাব বেড়ে গেলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতাল নির্মাণসহ আইসিইউ, ভেন্টিলেশন, সাপোর্ট কেয়ার সরঞ্জাম, করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিটসহ নানা যন্ত্রপাতি কিনতে হতে পারে। এছাড়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়ে গেলে জরুরি ভিত্তিতে তা আমদানির প্রয়োজন পড়বে। করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নানা ধরনের গবেষণার কাজ চলছে দেশে। সেসব খাতেও বরাদ্দ থেকে ব্যয় করার সুযোগ থাকবে। 

জানা গেছে, করোনার প্রভাবে কর্মহীনদের কথা বিবেচনায় নিয়ে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতা বাড়ানো হচ্ছে। কর্মসৃজনের কর্মসূচিও থাকছে। ভিজিডি, ভিজিএফের আওতায় খাদ্যসহায়তা কর্মসূচিতে বাড়তি বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও করোনাভাইরাসের প্রভাবে জরুরিভাবে অতিরিক্ত ত্রাণ বিতরণের প্রয়োজন হলে এই থোক বরাদ্দ থেকে অর্থ সংস্থান করা হবে। 

ফ্রন্টলাইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা সংক্রমিত হয়ে যারা মারা যাবেন, তাদের জন্য বাজেটে ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বরাদ্দ রাখা অর্থ থেকে রোগে আক্রান্তদেরও বিশেষ প্রণোদনার সুযোগ রয়েছে। 

এর আগে স্বাস্থ্য খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া লাখ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে ১৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন