চা উৎপাদন ও রফতানির জন্য চীনের পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) প্রদেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পানীয় পণ্যটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে ৭ হাজার ৭০০ টন ছাড়িয়ে গেছে। স্থানীয় রাজস্ব বিভাগের সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর সিনহুয়া।
ভূপ্রকৃতি ও আবহাওয়াগত কারণে ফুজিয়ানে উৎপাদিত চায়ের মান বেশ ভালো। এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে এখানকার চায়ের বিশেষ চাহিদা রয়েছে। বিশেষত এখানকার ওলোং টি, গ্রিন টি, জেসমিন টি আর ব্ল্যাক টির খ্যাতি বিশ্বজোড়া।
প্রদেশটির রাজস্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে ফুজিয়ান থেকে সব মিলিয়ে ৭ হাজার ৭২৬ টন চা রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। এ সময় চা রফতানি করে স্থানীয় রফতানিকারকরা মোট ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেছেন।
বছরের প্রথম চার মাসে চীনের ফুজিয়ান থেকে জাপানের বাজারে সবচেয়ে বেশি চা রফতানি হয়েছে। বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে ফুজিয়ানের রফতানিকারকরা জাপানে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৫৯৪ টন চা রফতানি করেছেন। এক বছরের ব্যবধানে চীনের এ প্রদেশ থেকে জাপানে পানীয় পণ্যটির রফতানি বেড়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
এ সময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলোয় সব মিলিয়ে ২ হাজার ৩১৫ টন চা রফতানি করেছেন ফুজিয়ানের রফতানিকারকরা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রেকর্ড ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
মূলত ফুজিয়ান থেকে বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে চা রফতানি দিন দিন বাড়ছে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে এখানকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সব মিলিয়ে ৫ হাজার ৯৪ টনের কিছু বেশি চা রফতানি করেছে। বাকিটা রফতানি হয়েছে সরকারি উদ্যোগে। এক বছরের ব্যবধানে ফুজিয়ান থেকে বেসরকারি উদ্যোগে চা রফতানি ২৪ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে।
