কমে যেতে পারে প্লাটিনামের বৈশ্বিক উত্তোলন

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছর প্লাটিনামের বৈশ্বিক উত্তোলন কমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ব্যাংক অব আমেরিকা মেরিল লিঞ্চ (বিএএমএল) প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এর মূল কারণ। সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে দেশে লকডাউন চলেছে। বিশ্বের শীর্ষ প্লাটিনাম উৎপাদনকারী দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার খনিজ উত্তোলন কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। ফলে দেশটিতে মূল্যবান ধাতুটির উত্তোলন কমতির দিকে রয়েছে, যা বৈশ্বিক উত্তোলন হ্রাসে প্রভাব ফেলবে। চলতি বছর প্লাটিনামের সঙ্গে প্যালাডিয়ামের উত্তোলনেও মন্দা ভাব বজায় থাকতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর রয়টার্স মাইনিংডটকম।

বিএএমএলের তথ্য অনুযায়ী, উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে চলতি বছর প্লাটিনাম প্যালাডিয়াম উভয় ধরনের ধাতুর চাহিদায়ও নিম্নমুখী প্রবণতা পড়তে পারে। ধরনের ধাতু সাধারণত গাড়ির যন্ত্রাংশ গহনা বানাতে ব্যবহার করা হয়। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এতে পণ্য দুটির চাহিদায় বাড়তি চাপ তৈরি হতে পারে। তবে মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হলে শিগগিরই পণ্য দুটির চাহিদা চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। বিপরীতে খনি থেকে পণ্য দুটির উত্তোলন স্বাভাবিকে ফিরতে বেশ কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।

পৃথিবীজুড়ে উত্তোলিত মোট প্লাটিনামের ৭৮ শতাংশ উত্তোলন করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া প্যালাডিয়ামের মোট বৈশ্বিক উত্তোলনের ৩৬ শতাংশ উত্তোলন হয় দেশটিতে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকায় পণ্যটির উত্তোলনের হ্রাস-বৃদ্ধি বৈশ্বিক পরিসরে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। কভিড-১৯ প্রতিরোধে দেশটিতে বর্তমানে লকডাউন চলছে। এর আওতায় গত ২৭ মার্চ দেশটির খনিজ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর ১৬ এপ্রিল ৫০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়ে খনিজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয় দেশটির সরকার। পরিস্থিতিতে দেশটির খনিজ কার্যক্রম পুনরায় স্বাভাবিকে ফিরতে কমপক্ষে ছয় মাস লেগে যেতে পারে। এর জের ধরে অন্যান্য খনিজ পণ্যের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্লাটিনাম প্যালাডিয়ামের উত্তোলন কমে যেতে পারে।

এদিকে উত্তোলন হ্রাসের পরও চাহিদা না থাকায় পণ্যটির দামে মন্দা ভাব বজায় রয়েছে। বিএএমএলের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্লাটিনামের দাম কমেছে ২০ শতাংশ। সময় প্যালাডিয়ামের দাম কমেছে দশমিক শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন