বাগেরহাটে চিংড়ির রোগ নির্ণয়ে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিক

বণিক বার্তা প্রতিনিধি বাগেরহাট

বাগেরহাটে মৎস্য ঘেরে গিয়ে চিংড়ির রোগ নির্ণয় চাষীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের জন্য ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিক চালু হয়েছে।

বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। গতকাল এর উদ্বোধন করেন কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা . এএফ এম শফিকুজ্জোহা।

ক্লিনিক চালুর পর পরই এর সেবা নেন সদর উপজেলার বৈটপুর গ্রামের মিজানুর রহমান হারিদুল ইসলাম। টিম লিডার বাগেরহাট

চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচএম রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিকের কর্মকর্তারা তাদের মৎস্য ঘেরে গিয়ে পানির গুণাগুণ চিংড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।

বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র জানায়, নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার আম্পান-পরবর্তী এই সময়ে যেসব চাষী গবেষণা কেন্দ্রে আসতে পারবেন না, তারা নিজের খামারে বসে ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের মাধ্যমে সেবা নিতে পারবেন। সেবা পেতে আগ্রহীরা ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিকের নির্দিষ্ট নম্বরে (০১৭১৫-১৪৪৫০৭, ০১৭১১-৪৫০৫০০ ০১৬১৭-৮৯০৫৭১) কল দেবেন। সমস্যা বুঝে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিকের সদস্যরা চাষীর ঘেরে চলে যাবেন।

. এএফএম শফিকুজ্জোহা বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আমরা চাষীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিক চালু করেছি। সাত সদস্যের টিম চাষীদের ঘেরে গিয়ে সেবা দেবে। চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ করণীয় সম্পর্কে জানাবেন আমাদের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। বছরব্যাপী কার্যক্রম চলমান থাকবে। ফলে চাষীরা উপকৃত হবেন।

ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিকের টিম লিডার এইচএম রাকিবুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতি আম্পান-পরবর্তী এই সময়ে অনেকে বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না। তাই প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হন। মুহূর্তে চাষীদের যেসব সেবা প্রয়োজন আমরা সেসব সেবা দিচ্ছি। যে চাষী বাড়ি বসে সেবা পেতে আগ্রহী তারা যদি আমাদের নম্বরে ফোন দেয়, তাহলে আমরা তার ঘেরে চলে যাব।

দীর্ঘদিন পর হলেও বাগেরহাটে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিক চালু হওয়ায় খুশি চিংড়িচাষী সংশ্লিষ্টরা। বাগেরহাট চিংড়িচাষী সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন, ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিক চালুর উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে এই উদ্যোগ আরো আগে নিলে ভালো হতো। আমরা চাই, তাদের সেবা অব্যাহত থাকুক।

চিংড়িচাষী মিজানুর রহমান বলেন, চিংড়ির রোগ নিয়ে পরামর্শের জন্য উপজেলা সদর এবং অনেক সময় জেলা সদরেও যেতে হয়। এখন ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক চালু হওয়ায় সমস্যা আর পোহাতে হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন