বগুড়ায় নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন। এ নিয়ে মহামারী ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে বগুড়ায় মোট চারজন মারা গেলেন। আর শুক্রবারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আগের ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৫২ জন।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজার রহমান জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন চারজন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত রয়েছে ৫২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বগুড়া সদর উপজেলায় ৪২ জন। শেরপুরে রয়েছে ২ জন ও শাজাহানপুরে রয়েছে ৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলো ৫৬৯ জন। সুস্থ হয়েছে ৪৯ জন।
গতকাল শুক্রবার সকালে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক (৬৫) ও টিএমএসএস হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন (৭২) মারা যান।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারি পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শামসুল হক নামের একজন মুক্তিযোদ্ধা শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক জুন। ৩ জুন তিনি নুমনা পরীক্ষায় পজিটিভ হলে তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি হাসপাতালে না গিয়ে নিজের বাড়ি বগুড়া শহরের কলোনীতে চলে যান।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিক আমিন জানান, মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক শুক্রবার দুপুরে ভর্তি হওয়ার কিছু পরে মারা যান। তার প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট ছিল। তার মৃতদেহ জীবাণুমুক্ত করে স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারিতে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে ঢাকা থেকে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নিজ বাড়িতে আসার পর অসুস্থ হন মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন। পরে তিনি টিএমএসএস হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। বগুড়ার টিএমএসএস এর উপ-নির্বাহী পরিচালক ডা. মতিউর রহমান জানান, মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন শুক্রবার সকালে মারা গেছেন। তিনি ৩ জুন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ৪ জুন করোনায় ‘পজিটিভ’ হয়েছিলেন।
বগুড়ায় এর আগে ২১ মে সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন নাহার পুতুল ও ৪ জুন জহুরুল ইসলাম বাবু নামে একজন করোনায় মারা যান। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় মৃতদেহগুলো স্বাস্থবিধি মেনে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
