কভিড-১৯

বেশি আক্রান্ত তরুণরা, মারা যাচ্ছেন বেশি বয়স্করা

বণিক বার্তা অনলাইন

দেশে মহামারী করোনা ভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আট শতাধিক মানুষ। আক্রান্ত এসব ব্যক্তিদের ৫৫ শতাংশই ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সসীমার তরুণ ও যুবক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, কাজের কারণে হোক আর অসচেতনতার কারণেই হোক, এই বয়সী তরুণরা বাইরে বেশি সময় কাটান, এ কারণে তারা বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন। 

আজ শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুন) পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে তিনি জানান, দেশে আক্রান্তদের ২৮ শতাংশই তরুণ, যাদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। প্রায় কাছাকাছি সমান ২৭ শতাংশ আক্রান্ত রয়েছেন ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সসীমার মানুষ। 

এই বয়সী মানুষদের আরো বেশি সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘এই বয়সের মানুষেরা আসলে কর্মস্থলে বেশি থাকেন। বাইরে বেশি ঘোরাঘুরি করেন; কাজের ক্ষেত্রেই হোক আর যে কারণেই হোক। তরুণ বয়সে অনেকেই সচেতনতা ও সতর্কতার পরামর্শ অনেকেই ঠিকভাবে গ্রহণ করেন না।

এছাড়াও শিশু, যাদের বয়স এক থেকে ১০ বছরের মধ্যে তারা আক্রান্ত হয়েছে ৩ শতাংশ এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সসীমার আক্রান্ত হয়েছে ৭ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের বয়সসীমার লোক আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ শতাংশ এবং ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ শতাংশ।

আক্রান্তদের লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ।

মৃত্যুর বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, মৃতদের প্রায় ৩৯ শতাংশেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এই বয়োজ্যাষ্ঠদেরও বেশি সতর্ক থাকার আহ্বান জানান নাসিমা সুলতানা।

মারা যাওয়াদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে। এদের মধ্যে এক থেকে ১০ বছরের মধ্যে দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

এছাড়াও ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে মারা গেছেন ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ষাটোর্ধ্ব ৩৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন