কভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তে নমুনা পরীক্ষায় শুরু থেকেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। পরীক্ষা কম হলেও শনাক্তের হার ছিল অনেক বেশি। চারদিন ধরে দৈনিক শনাক্তের হার ছিল ২০ শতাংশের ওপরে। এর মধ্যে একদিনে শনাক্তের হার পৌঁছেছিল ২৩ শতাংশের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এ সময়ে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪২৩ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। গতকালের অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশের ৫০টি ল্যাবে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৬৯৪টি। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৪২৩টি নমুনা। শনাক্তের হার ১৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এর আগে গত ৩১ মে শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। একইভাবে ১ জুন ২১ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২ জুন ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ ও গত ৩ জুন শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। দেশে বর্তমানে কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ৫৬৩। এর মধ্যে ১২ হাজার ১৬১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে আরো ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। নতুন করে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের ২৯ জনই পুরুষ। বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃত ব্যক্তিদের তিনজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। একইভাবে ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুজন ও ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন।
মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ২১ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, সিলেটের দুজন, রাজশাহীর একজন, বরিশালের একজন ও একজন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসে ৭৮১ জনের মৃত্যু হলো। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৭১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্তদের মনোবল চাঙ্গা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মনোবল ভালো থাকলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হালকা শারীরিক ব্যায়াম, মনকে উদ্দীপ্ত রাখে এমন কার্যক্রমের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি শিশুদের সৃষ্টিশীল কাজে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।