শ্রমিকদের জন্য বিজিএমইএর করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পোশাক শ্রমিকদের কভিড-১৯ পরীক্ষায় পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক রফতানিকারক সমিতি বিজিএমইএ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম ল্যাবটি স্থাপন হয়েছে গাজীপুরের চন্দ্রায়। গতকাল এক ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ল্যাব উদ্বোধন করা হয়।

ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বাডাস) সহযোগিতায় বিজিএমইএ চন্দ্রা, টঙ্গী নারায়ণগঞ্জে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। ল্যাবগুলো সঠিকভাবে উচ্চহারে করোনাভাইরাস নমুনা শনাক্তের জন্য সক্ষম। গতকাল প্রথমটি স্থাপন হয়েছে। ল্যাবে প্রতিদিন ১৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে এবং পরবর্তী সময়ে তা আরো বৃদ্ধি করা হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি (এমপি), স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক (এমপি), শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি কেএম আব্দুস সালাম, এফবিসিসিআই বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন (এমপি), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সাবেক সভাপতি মতিন চৌধুরী, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী (এমপি), ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বাডাস) সভাপতি প্রফেসর ডক্টর একে আজাদ খান বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি . রুবানা হক।

কনফারেন্সিংয়ের শুরুতে বিজিএমইএর কভিড ল্যাব স্থাপন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, কভিড মহামারীর কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে, তাই এই মহামারী মোকাবেলা করেই কারখানা সচল রাখার সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। সময়মতো পরীক্ষার ফলে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে শ্রমিকদের পুনরায় কাজে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বিজিএমইএ গার্মেন্টস সেক্টরকে প্রতিনিধিত্ব করছে। কাজের সঙ্গে লাখ লাখ শ্রমিক জড়িত তাই তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করাটাও আমাদের দায়িত্ব। ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের ধন্যবাদ। যত বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হবে, তত বেশি শনাক্ত হবে এবং তত দ্রুত চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে।

সালাম মুর্শেদী এমপি বলেন, যেহেতু কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আগে পর্যন্ত এর সঙ্গেই চলতে হবে এবং লাইফস্টাইলের সঙ্গে মানিয়ে চলে সুস্থ থাকতে হবে এবং ইন্ডাস্ট্রি পরিচালনা করতে হবে।

এফবিসিসিআই বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, শ্রমিকরা আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত শ্রমিকদের নজরদারিতে রাখছে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সমাজের বিত্তবানদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের যাদের বড় জায়গা তারা আইসোলেশন ইউনিট তৈরি করে কাজে সহযোগিতা করতে পারেন।

বিজিএমইএর সভাপতি . রুবানা হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক দিকনির্দেশনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা কভিড-১৯ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি। দুর্যোগে বিজিএমইএর মহৎ উদ্যোগটি করোনা মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শ্রমিকরাই আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমরা শ্রমিকদের মধ্যে কভিড-১৯ নিয়ে নিয়মিত সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করছি। তাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আইসোলেশনের প্রয়োজনে বেড রাখার জন্য রাজধানীর বারডেম বেশকিছু প্রাইভেট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন