অ্যাপলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের মামলা

বণিক বার্তা ডেস্ক

মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ইনকরপোরেশনকে দেশটির অংশীদারদের দায়ের করা মামলার মুখোমুখি হতে হবে। বিশেষ করে চীনের বাজারে আইফোনের চাহিদা কমে যাওয়ার তথ্য গোপন করায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হচ্ছে। এর ফলে মার্কিন অংশীদারদের শত শত কোটি ডলার লোকসান গুনতে হচ্ছে। খবর রয়টার্স।

আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠলেও তার অধিকাংশ নাকচ করে দিয়েছে অ্যাপল। তবে মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট বিচারক ইভোনি গঞ্জালেজ রগার্স গত মঙ্গলবার এক রুল জারি করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদাররা অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুকের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। ২০১৮ সালের নভেম্বর আইফোনের চাহিদায় বড় ধরনের উল্লম্ফনের যে তথ্য কুক দিয়েছিলেন, তার ওপর ভিত্তি করে মামলা করতে পারবেন। কারণ কুকের এমন মন্তব্যের কয়েক দিন আগেই অ্যাপল তাদের সবচেয়ে বড় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎপাদন কমে যাওয়ার তথ্য জানায়। ফলে অ্যাপলের সিইও প্রতিষ্ঠানটির বক্তব্য সাংঘর্ষিক, যা দেশটির বিনিয়োগকারীদের লোকসানের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ নির্বাহী হওয়া সত্ত্বেও তাদের সর্ববৃহৎ বাজারে আইফোনের চাহিদা কমে গিয়েছে, সেটি কি টিম কুক জানতেন না? নাকি এটি ইচ্ছাকৃত ভুল ছিল প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক রগার্স। তিনি তার রুলে লিখেছেন, কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং অন্যান্য হস্তক্ষেপগত কারণ ব্যতিরেকে এটা অবশ্যই অকল্পনীয় বিষয় যে, চীনের বাজারে আইফোনের চাহিদা কমেছে আর কুক সেটি জানেন না। কারণ চাহিদা কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন কার্যক্রম সীমিত করে আনা হয়।

অকল্যান্ডের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বিচারক বলেন, আইফোন বিক্রির ইউনিট হিসেবে তথ্য প্রকাশ না করার বিষয়ে অ্যাপল সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ সম্ভবত তথ্য প্রকাশ পেলে প্রতিষ্ঠানটির আইফোন ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ত। যদিও অ্যাপল এখন অবধি ইউনিট হিসেবে আইফোন বিক্রির তথ্য প্রকাশ থেকে বিরত রয়েছে।

রোড আইল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের অবসর কর্মীরা মূলত অ্যাপলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। কুকের ওই মন্তব্যের পর গত বছরের জুন অভিযোগ করেন অবসরোত্তর এসব বিনিয়োগকারী। সময় যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে অ্যাপলের প্রান্তিক আয়ের প্রক্ষেপণ ৯০০ কোটি ডলার পর্যন্ত কমেছিল।

২০০৭ সালে অ্যাপল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথম কোম্পানিটির রাজস্ব আয় নিম্নমুখী হওয়ার প্রাক্কলন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির এমন প্রাক্কলন তথ্যের পরের দিনই অ্যাপলের শেয়ারদর ১০ শতাংশ কমে যায়। আর এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূলধন কমে যায় হাজার ৪০০ কোটি ডলার।

বাজার বিশ্লেষক একটি প্রতিষ্ঠানকে সে সময় অ্যাপল প্রধান জানান, আইফোনের এক্সএস এবং এক্সএস ম্যাক্স খুব ভালোভাবেই বাজার ধরতে শুরু করেছে। যদিও কিছু উদীয়মান বাজারে এটির বিক্রি কিছুটা চাপে রয়েছে। তবে আমি অবশ্যই তালিকায় চীনকে রাখব না। অর্থাৎ চীনে আইফোনের বিক্রি নিম্নমুখী থাকলেও কুক সময় সেটি এড়িয়ে যান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন