কভিড-১৯

দেশে আরো ৩৭ জনের মৃত্যু নতুন শনাক্ত ২ হাজার ৬৯৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড-১৯ সংক্রমিত আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিনও প্রাণঘাতী রোগে মৃত্যু হয় ৩৭ জনের। এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যু হয়েছে গত ৩১ মে, ৪০ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন হাজার ৬৯৫ জন। সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৪৭০ জন করোনা রোগী। দেশে কভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল নিয়মিত বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশের ৫০টি পিসিআর ল্যাবে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৫ হাজার ১০৩টি। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৩টি। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৫১০টি। এর মধ্যে হাজার ৬৯৫ জনের শরীরে কভিড-১৯-এর উপস্থিতি মিলেছে। হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কম। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ।

করোনাভাইরাসে দেশে নতুন করে আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে ভাইরাসটিতে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৪৬। গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ, নয়জন নারী। ৩১ জন হাসপাতালে, পাঁচজন বাড়িতে মারা গেছেন। একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। মৃত ৩৭ জনের মধ্যে চারজনের বয়স ছিল ৭০ বছরের বেশি। এছাড়া ১২ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, পাঁচজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, তিনজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। বাংলাদেশে ভাইরাসটিতে মৃত্যুর হার দশমিক ৩৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৭০ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হলেন ১১ হাজার ৫৯০ জন। সুস্থতার হার ২১ দশমিক শূন্য শতাংশ।

গতকালের বুলেটিনে মৃত ব্যক্তিদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায় না বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, মৃতদেহ নিজ নিজ ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী সতর্কতা অবলম্বন করে দাফন সত্কার করা যাবে। নিয়মানুযায়ী সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ পলিথিনে মুড়িয়ে মনোনীত কবরস্থান কিংবা পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা যাবে। শুধু করোনা আক্রান্ত হিসেবে নির্দিষ্ট কবরস্থানে দাফনের কোনো প্রয়োজন নেই। পারিবারিক কবরস্থানেও মরদেহ দাফন করা যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে কভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মৃতদের সত্কারে - ঘণ্টা লেগে যায়। ঘণ্টা পর এই ভাইরাসের কর্মক্ষমতা থাকে না। এজন্য ছড়ানোর কোনো আশঙ্কা নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা একশ ছাড়ায় গত এপ্রিল। ওই দিনের ব্রিফিংয়ে ১৪টি পিসিআর ল্যাবে ৪৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৩৫ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়। মোট করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যায় ১২ এপ্রিল। সেদিন ১৭টি পিসিআর ল্যাবে হাজার ৩৪০ জনের শরীরের নমুনা পরীক্ষায় ১৩৯ জনের পজিটিভ পাওয়া যায়। এরপর ১৪ এপ্রিল ১৭টি ল্যাবে হাজার ৯০৫ জনের পরীক্ষায় ২০৯ জন পজিটিভ হওয়ার তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে যায় ১৬ এপ্রিল। ওই দিন ১৭টি ল্যাবে হাজার ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪১ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য প্রকাশ করা হয়। মোট নিশ্চিত করোনা রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায় ২৩ এপ্রিল। এদিন ১৯টি ল্যাবে হাজার ৪১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪১৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন