গণসাক্ষরতা অভিযানের সংবাদ সম্মেলন

শিক্ষায় আইসিটি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ বরাদ্দের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা কার্যক্রমের অবকাঠামোগত সক্ষমতা বাড়ানোয় আসন্ন বাজেটে বড় বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছে গণসাক্ষরতা অভিযান। গতকাল সংস্থাটির এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানানো হয়।

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক   তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ব্র্যাক অধ্যাপক . মনজুর আহমেদ, আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক . এহছানুর রহমান, ব্র্যাকের পরিচালক (শিক্ষা কর্মসূচি) . শফিকুল ইসলাম, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) রিসার্চ ডিরেক্টর . খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সংসদ সদস্য গণসাক্ষরতা অভিযানের সহসভাপতি আরমা দত্ত গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক কেএম এনামুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শ্রেণীভিত্তিক কার্যক্রমের কোনো বিকল্প নয়। দুটি মিলেই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হয়। তবে বর্তমান সংকটকাল কতদিন দীর্ঘায়িত হবে, সে বিষয়ের কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই আমাদের অনলাইনের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা কম থাকায় অনলাইন কার্যক্রমের জন্য একটি বড় অবকাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন। এটি বাস্তবায়নে বড় একটি উদ্যোগ নিতে হবে। তাই আমরা শিক্ষা খাতে আইসিটি সক্ষমতা বাড়াতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ চাচ্ছি। 

সময় আলোচকরা বলেন, গত ২০ বছরে শিক্ষায় আমাদের যে অর্জন, সেটি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দেশে দারিদ্র্যসীমার  নিচের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এর একটি বড় প্রভাব শিক্ষা খাতে পড়বে। বিশেষ করে শিক্ষায় অংশগ্রহণ ঝরে পড়ার ক্ষেত্রে সমস্যা আরো বাড়বে। করোনা ঝুঁকি প্রশমন শিক্ষা পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের আওতায় বর্তমান অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দসহ কমপক্ষে দুই-তিন বছরমেয়াদি একটি পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। বিশেষ পরিকল্পনায় পাঠদান, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া, শিক্ষক অভিভাবকদের আশ্বস্ত করা এবং অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো বাদ দেয়া আবশ্যক।

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের পক্ষ থেকে সময় বলা হয়, এক্ষেত্রে জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখতে হবে। পাশাপাশি বাজেট ব্যবস্থাপনায় অর্থ ব্যয়ের সক্ষমতা বাড়ানো, অর্থ ব্যবহারে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, দেশে সরকারি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের বাইরে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ধরনের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ফি দিতে না পারায় শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। তাই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও বিশেষ বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।  

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন