শ্বাসরুদ্ধ হয়েই মারা গেছেন জর্জ ফ্লয়েড: ময়নাতদন্ত

বণিক বার্তা অনলাইন

পুলিশের হেফাজতে শ্বাসরুদ্ধ হয়েই মারা গেছেন কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে। ফ্লয়েডের পরিবারের নিয়োগ করা বেসরকারি সংস্থাটির ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় জর্জ ফ্লয়েড (৪৬) নামের আফ্রিকান-আমেরিকান এক ব্যক্তিকে ২৫ মে গ্রেফতার করতে গিয়ে সড়কে ফেলে হাঁটু গেড়ে চেপে ধরেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক চাওভিন। এতে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। 

জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের আইনজীবী বেন ক্রাম্প গণমাধ্যমে বলেছেন, ঘাড়ের উপর ক্রমাগত হাঁটুর চাপ পড়ায় মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ফ্লয়েডের। একই সঙ্গে তার ওপর পুলিশ কর্মকর্তা চেপে বসে থাকায় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তার। এক প্রত্যক্ষদর্শীর করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ফ্লয়েড বারবার আকুতি জানিয়ে বলেছিলেন তিনি নিঃশ্বাস নিতে পারছেন। কিন্তু তারপরও ক্ষ্যান্ত হননি ওই পুলিশ কর্মকর্তা। 

পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনের হাঁটুর চাপে ফ্লয়েডের মৃত্যু হওয়ায় তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাকি তিন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জর্জের পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন, বাকি তিন পুলিশ কর্মকর্তাকেও গ্রেফতার করার দাবি জানানো হয়েছে।

বেন ক্রাম্প আরো জানান, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ওপর ভরসা পাওয়া যাচ্ছিল না। ময়নাতদন্তের সরকারি রিপোর্ট নিয়ে তাদের সন্দেহ ছিল। সে কারণে জর্জের পরিবার আলাদা করে বেসরকারিভাবে ময়নাতদন্ত করিয়েছেন।

এ দিকে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ এখনো থামেনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমেরিকার অন্তত ৪০টির বেশি নগরীতে কারফিউ জারি করতে হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে সুদূর নিউজিল্যান্ডেও। স্থানীয় সময় সোমবার নিউজিল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসে অসংখ্য মানুষ।

এএফপির খবরে বলা হয়েছে, অকল্যান্ডে সোমবার অন্তত দুই হাজার মানুষ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। মিছিল নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় তারা ‘নো জাস্টিস নো পিস’ ও ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ স্লোগান দেয়। এছাড়া আরো ৫০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী ক্রাইস্টচার্চে জড়ো হয়। একই সঙ্গে ওয়েলিংটনে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন