বর্ষা মৌসুম আসার আগেই মানিকগঞ্জে পানি বাড়তে শুরু করেছে পদ্মা ও যমুনা নদীতে। এতে দুই নদীর তীর ভাঙতে শুরু করায় ঝুঁকিতে পড়েছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও আরিচা নৌবন্দর। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এ দুই স্থাপনার বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পানি বাড়তে থাকায় আরিচার নিহালপুর থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে পদ্মা ও যমুনা তীরের ভাঙন। আরিচা ঘাট এলাকায় এরই মধ্যে যমুনা নদীর তীরের বেশকিছু স্থাপনা ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরিচা নদীবন্দরও।
আরিচা নৌবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, নিজ উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন তারা। কিন্তু ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। সরকারিভাবে ভাঙনরোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে পুরো নৌবন্দরই বিলীন হয়ে যাবে।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, সাধারণত জুনের শেষের দিকে নদীতে পানি বাড়ার কথা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে হঠাৎই পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন দেখা দেয়। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে পানি কমে যাবে। এরই মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে ৬০ লাখ টাকার জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হেয়ছে। পরবর্তী সময়ে স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে যমুনার পাশাপাশি পদ্মা নদীর তীরেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ৩, ৪ ও ৫ নম্বর পন্টুন বিলীনের ঝুঁকিতে আছে। খবর পেয়ে সম্প্রতি ভাঙনকবলিত ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদিক। তাদের নির্দেশনায় ভাঙনরোধে বালির বস্তা ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।
পানিসম্পদ সচিব বলেন, জরুরি ভিত্তিতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করা হয়েছে। বর্ষার পর পরই যমুনার পূর্ব তীর সংরক্ষণে স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মেগা প্রকল্প অনুমোদন হবে বলে আশা করি। সেক্ষেত্রে পূর্ব তীরে জামালপুর থেকে শুরু করে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ হয়ে পদ্মা সেতু পর্যন্ত ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।