ভারতে গোলাপি জ্যাকেট পরা স্বাস্থ্যকর্মীদের হরহামেশাই দেখা যায় গ্রামাঞ্চলে। এই স্বাস্থ্যকর্মীরা অ্যাক্রিডেটেড সোস্যাল হেলথ অ্যাক্টিভিস্ট বা আশার কর্মী। ভারতের গ্রামাঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি নজরদারি ও সুরক্ষায় এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
আশা কর্মীরা মাসে সরকারের কাছ থেকে ২ হাজার রুপি পান। অনেকে আবার আরো কিছু কাজ করে ৬ হাজার রুপি পর্যন্ত উপার্জন করেন। বলাই বাহুল্য উপার্জনটি যৎসামান্য। অনেক বছর ধরেই এ কর্মীরা তাদের বেতন বৃদ্ধি ও স্বীকৃতির দাবি করে আসছেন।
আশার কর্মীরা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারী দেখিয়ে দিয়েছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় তারা কতটা গুরুত্ব বহন করেন, কিন্তু তারা স্বাস্থ্যবীমা, সবেতন ছুটি বা পেনশনের মতো সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়নের একজন রাজ্য সভাপতি সোমশেখর বলেছেন, ‘এদের স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে বিবেচনা করা হয় না এবং এটা সব সমস্যার মূল কারণ। তারা জনস্বাস্থ্যের বিষয়ে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন অথচ তাদের নিজেদের জীবন সুরক্ষিত নয়। সরকার তাদের শোষণ করছে।’
সাধারণভাবে আশা কর্মীরা জরিপ করেন, স্বাস্থ্যসেবাসংক্রান্ত তথ্য গ্রামবাসীর কাছে পৌঁছে দেন, গর্ভবতী নারী ও সদ্যোজাত শিশুদের খোঁজ রাখেন, ওষুধ পৌঁছে দেন। এমন আরো অনেক কাজ তাদের করতে হয়। মহামারীর সময় তাদের কর্মতালিকা দীর্ঘ হয়েছে। এখন তাদের গ্রামের মানুষের ভ্রমণ ইতিহাস, সংক্রমণের লক্ষণ বিষয়ে খোঁজ নিতে হচ্ছে এবং কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাপনায়ও যুক্ত হতে হচ্ছে। এজন্য কর্মীপ্রতি বরাদ্দ হয়েছে মাসে এক হাজার রুপি। আশার কর্মীর মনে করেন এ রকম বিপদেও তাদের এ সামান্য অর্থে কাজ করতে হচ্ছে কিন্তু গ্রামের মানুষের কথা ভেবে তারা কখনো কাজ বন্ধ করেননি।
সিএনএন
