গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় আমান্ডার আঘাতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এল সালভাদর ও গুয়াতেমালা। স্থানীয় সময় রোববার ঝড়ের তাণ্ডবে এল সালভাদরে মারা গেছে অন্তত ১৪ জন। একই সঙ্গে ওই অঞ্চলে ব্যাপক বন্যা ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। খবর এএফপি।
এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সামলে নিতে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। দেশটিতে ১৪ জন নিহতের খবর জানা গেলেও গুয়াতেমালায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এল সালভাদরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও দুরান জানান, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ঝড়ে বহু গাছ উপড়ে গেছে। বন্যার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে ভূমিধস। অন্তত ২০০ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুত্সংযোগ।
নিহতদের অর্ধেকই রাজধানী সান সালভাদরে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন মেয়র। তিনি বলেন, অন্তত একজন নিখোঁজ রয়েছে। আমরা বর্তমানে অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। একদিকে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও অন্যদিকে ঝড় আমাদের সংকট বহু মাত্রায় বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় জরুরি কর্মীদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী। সান সালভাদরের বাসিন্দা ইসিদ্রো গোমেজ বলেন, ঝড়ে আমরা সব হারিয়েছি। বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসেবে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। মূলত ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেই এল সালভাদরের ৯০ শতাংশ মানুষ বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।