নভেল করোনাভাইরাসের কারণে দুই মাস বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে আবার লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে গতকাল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ রুটে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়। এতে ফেরিতে করে যাত্রী পারাপারের চাপ কমেছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনার বিস্তার রোধে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল থেকে এ রুটে আবার লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। তবে ভাড়া বাড়ানো হয়নি।
ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় ঘাট কর্তৃপক্ষ জীবাণুনাশক স্প্রে, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করেছে। নির্ধারিতসংখ্যক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে, আবার পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে এসে দৌলতদিয়ায় ভিড়ছে। ঘাটে যাত্রীদের মাইকিং করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় চাপ কমেছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। গতকাল বিকালে অল্প কয়েকটি প্রাইভেট কার ও পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া তেমন কোনো ভিড় দেখা যায়নি।
দৌলতদিয়া ঘাট লঞ্চ মালিক সমিতির ব্যবস্থাপক নুরুল আনোয়ার মিলন জানান, দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় এ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় লঞ্চ মালিকদের অনেক লোকসান হয়েছে। এখন প্রতিদিন সকাল থেকে এ রুটে ১৭টি লঞ্চ চলাচল করবে। প্রতিটি লঞ্চেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা সেক্টরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী লঞ্চ চলাচল শুরুর অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, সকালে একটু যাত্রীর চাপ ছিল। তবে বেলা ১১টার পর থেকে এ নৌরুটে যাত্রীর চাপ একেবারেই কমেছে। বর্তমানে ১৭টি ফেরির মধ্যে সাতটি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের চাপ বাড়লে ফেরির সংখ্যাও বাড়ানো হবে।