করোনা মোকাবেলায় ১৬ লাখ ডলার দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড

বণিক বার্তা অনলাইন

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থদের জরুরি ত্রাণ সহায়তায় ১৬ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে দেশের অন্যতম প্রাচীন বৈদেশিক ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। রেড ক্রস এবং ইউনিসেফ এর মাধ্যমে জরুরি ত্রাণ সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিপন্ন শিশুদের তাৎক্ষণিক সুরক্ষা এবং শিক্ষার জন্য ইউনিসেফকে জরুরি সহায়তার জন্য ৩ লাখ মার্কিন ডলার এবং ক্ষতিগ্রস্থদের জরুরিরী চিকিৎসা সেবা দিতে ১৩ লাখ মার্কিন ডলার রেড ক্রসকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এই অনুদান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড পিএলসি’র ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতিশ্রুত সহযোগিতার অংশ।

এশিয়া ও আফ্রিকার কভিড -১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য পরিচালিত জরুরি ত্রাণ কার্যক্রমকে সহযোগিতা করতে রেড ক্রসকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার এবং ইউনিসেফকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এই অনুদান কোভিড-১৯ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বেশ কয়েকটি দেশ জুড়ে কাজ করা, রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট প্রাথমিক এবং মধ্যম পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, তাদের খাদ্য সরবরাহ এবং তত্ত্বাবধান, কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহের মতো কার্যক্রমগুলোতে সহায়তা করবে।

ইউনিসেফ টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন এবং মোবাইল এর মাধ্যমে শিশুদের দূরবর্তী শিক্ষা এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সহ কোভিড-১৯-এর কারনে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে পরা বাচ্চাদের পরিচর্যা করা, বিপন্ন বাচ্চাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদানে সামাজিক কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত বাবা-মা ও সেবাদাতাদের শিশুদের জন্য বিকল্প যত্ন এবং সুরক্ষা সেবা পরিচালনা করা মত কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করছে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেছেন, ‘আমাদের সমাজের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে পৌঁছানো রেড ক্রস এবং ইউনিসেফের কার্যক্রমগুলিতে অবদান রাখতে পেরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ গর্বিত। এই সংস্থাগুলির সাথে কাজ করে আমরা দ্রুত এবং কার্যকরভাবে কোভিড-১৯ এ মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্থদের মূল কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জরুরি ত্রাণ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছি।’

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস এ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এশিয়া প্যাসিফিকের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ মুখির বলেছেন, ‘স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের সময়োপযোগী এই অনুদানের জন্য ধন্যবাদ। এসব অনুদানে রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মহামারীর কারণে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি স্থানীয় মানুষদের আরো বেশী সহয়োগিতা করতে পারবে। রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা প্রথম সারির যোদ্ধা এবং এই তহবিলগুলি আমাদের দেশ জুড়ে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং আর্থ-সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধানে সহায়তা করবে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের অত্যাবশ্যক এই অনুদানের জন্য ধন্যবাদ এবং এর সাহায্যে আমরা করোনাভাইরাসের ধ্বংসাত্বক প্রভাবের মুখোমুখি আরও বেশি মানুষদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে পারব।’

ইউনিসেফের বেসরকারি তহবিল সংগ্রহ ও অংশিদারিত্ব বিভাগের পরিচালক গ্যারি স্টাহাল বলেছেন, ‘যে কোন সংকটে যুবক এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা অসামঞ্জস্যভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন। এই মহামারীটিও ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বের বেশিরভাগ শিশুই মহামারীর কারনে নানান ধরনের সীমাবদ্ধতার মধ্যে বসবাস করছে এবং স্কুল বন্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৩০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্থ। শিশুদের জন্য ইউনিসেফের কাজ করা এর আগে কখনই এতটা কঠিন হয়ে পরেনি, যেমনটা হয়েছে এখন। বিশ্বজুড়ে শিশুদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের এই অনুদানের জন্য ধন্যবাদ। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এর এই অনুদান বিশ্বজুড়ে অরক্ষিত শিশুদের জন্য টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন এবং মোবাইল এর মাধ্যমে শিশুদের দূরবর্তী শিক্ষা এবং শিশুদের সুরক্ষা কার্যক্রমগুলো পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন