কভিডকালে নাগরিকদের পাশে ‘৩৩৩’ ন্যাশনাল হেল্পলাইন

বণিক বার্তা অনলাইন

করোনাভাইরাসের এই সংকটকালে মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য হেল্পলাইনে পরিণত হয়েছে কলসেন্টার ‘৩৩৩’ । এই নম্বরে ফোন দিয়ে করোনাভাইরাস সম্পর্কে তথ্য, চিকিৎসকের পরামর্শ, খাদ্যসহ বিভিন্ন সহায়তা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই দুর্যোগে অধিকাংশ অফিস-আদালত যখন বন্ধ, তখন বিরতিহীন সেবা দিয়ে যাচ্ছে ৩৩৩ এ নিয়োজিত জেনেক্স ইনফোসিসের কর্মীরা। 

সরকারের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় ৩৩৩ কল সেন্টারটির সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ইনফোসিস। 

সরকারি সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতি, সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তথ্য ও নাগরিক সেবা প্রাপ্তির বিষয়ে অভিযোগ জানানো দিয়ে কাজ শুরু করে ৩৩৩ কলসেন্টার। এখন পরিবেশ দূষণ, সরকারি গাছ কাটা, ভোক্তা অধিকার, ভেজাল নিয়ন্ত্রণ, মাদক, চোরাচালান, ইভটিজিং,বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ নানা সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্যও কলসেন্টারটি কাজ করছে।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এ সম্পর্কে তথ্যসেবা দেয়া চালু করে ৩৩৩ কলসেন্টার। পরে চিকিৎসাবিষয়ক ফোন আসতে শুরু করায় এটুআই-এর সহযোগিতায় প্রযুক্তিনির্ভর কারিগরী সমন্বয় করা হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় খাদ্য সহযোগিতার আবেদন এবং ত্রাণ সহায়তা কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্য ও সেবা ৩৩৩ কলসেন্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। 

জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রিন্স মজুমদার এ ব্যাপারে বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে হেল্পলাইন ৩৩৩ মানুষের ভরসার জায়গায় পরিণত হওয়ায় আমরা গর্বিত ও অনুপ্রাণিত। আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এবং তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই। ৩৩৩-এ নিয়োজিত সব কর্মীকেও আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।

২০১৬ সালের ২৬ নভেম্বর দেশের ৬টি জেলা নিয়ে পাঁচটি তথ্য পরিষেবা দিয়ে ৩৩৩ এর কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৭ সালে তা ৬৪ টি জেলায় সম্প্রসারিত হয়। ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কলসেন্টার চালু করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন