কভিড-১৯

দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৪০ জনের মৃত্যু

কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে গেল ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এছাড়া এ সময়ে দুই হাজার ৫৪৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।এ নিয়ে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ১৫৩ জন।

আজ রোববার (৩১ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

দেশে পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে ৫২টি ল্যাবে পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ১২ হাজার ২২৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের দিনের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয় ১১ হাজার ৮৭৬টি। এ নিয়ে এযাবত মোট নমুনা পরীক্ষা দাঁড়াল ৩ লাখ ৮ হাজার ৯৩০টিতে। ঢাকায় নতুন দুটি ল্যাব যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ এবং আরেকটি বেসরকারি ডিএনএস সলিউশন লিমিটেড, ঢাকা।

তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৪০৬ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ হাজার ৭৮১ জন। গেল ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৪০ জনের মধ্যে ৩৩ পুরুষ এবং সাতজন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ২৮ জন, চট্টগ্রামের বিভাগের আটজন, খুলনায় দুজন, রাজশাহীতে একজন এবং রংপুর বিভাগের ছিলেন একজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৬ জন, আর বাড়িতে মারা গেছেন দুজন।

তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সসীমার একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর মধ্যে পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের চারজন।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬০ লাখের বেশি। আর মৃতের সংখ্যা প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে ৫০ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার বাড়ে খুব দ্রুত। সম্প্রতি লকডাউন শিথিল করার পর আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন