চমেকের শিক্ষক-চিকিৎসকদের জন্য নির্দেশনায় সংশোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) শিক্ষক, চিকিৎসক বা কর্মকতা-কর্মচারীদের জন্য দেয়া নির্দেশনায় সংশোধন আনা হয়েছে। কভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসে আইসোলেশনে গেলে অনুপস্থিত থাকার নির্দেশনার অংশটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জারিকৃত গতকালের তারিখের নির্দেশনাটিই সংশোধন করা হয়েছে।

অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শামীম হাসান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চমেকের যেসব শিক্ষক, চিকিৎসক বা কর্মকর্তা-কর্মচারী কভিড-১৯ পজিটিভ হবেন, কেবল তারাই ১০ দিনের আইসোলেশনে যাওয়ার বা হাসপাতালে অবস্থানের সুযোগ পাবেন। যথাযথ সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে কভিড পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসবেন তারা পরবর্তী দিনগুলোতে রোস্টার নীতি মেনে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন। যেসব শিক্ষক, চিকিৎসক বা কর্মকর্তা-কর্মচারী কভিড-১৯ পজিটিভ কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যদি একই ফ্ল্যাট বা বাসায় অবস্থান করে থাকেন এবং ওই ফ্ল্যাট বা বাসা যদি লকডাউনও করে দেয়া হয়, তবু্ও ওই শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে লকডাউনের আওতার বাইরে গিয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত হতে হবে। সব শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অফিস সূচি অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া সংশোধিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিক্ষক, চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন নাই, এমন ব্যক্তিদের অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্টদের কোনো সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করা করা হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক ডা. মো. আমিনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, চিকিৎসা সেবাদাতাদের করোনা পজিটিভ হলে উপসর্গ দেখা শুরুর ১০ দিন পর তাদের কাজে যোগদান করতে হবে। সেক্ষেত্রে কমপক্ষে তিনদিন জ্বরমুক্ত থাকার পাশাপাশি শ্বাসতন্ত্রের উপসর্গগুলোর পর্যাপ্ত উন্নতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে বলে ২৮ মে জারিকৃত ওই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।উপসর্গমুক্ত সংক্রমিতদের সম্পর্কে নির্দেশনায় বলা হয়, যেসব সেবাদাতার করোনা উপসর্গ দেখা দেয়নি, তাদের কভিড-১৯ টেস্টে পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর কাজে যোগদান করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন