এক্সিম ব্যাংক এমডিকে হত্যা চেষ্টা

পূর্ণাঙ্গ ও সুষ্ঠু তদন্ত চায় এবিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়াকে গুলি আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) একই সঙ্গে যেকোনো বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সব মহলের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছে সংগঠনটি। ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা দেশে বিদেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও আশঙ্কার কথা জানিয়েছে তারা। গতকাল এবিবি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানানো হয়।

লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৬ মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এক্সিম ব্যাংকের এমডিকে গুলি নির্যাতনের ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ঘটনায় এবিবি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে এই অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রত্যাশা করছে। অভিযোগে উল্লিখিত ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা ব্যাংকারদের তথা সামগ্রিকভাবে দেশে বিদেশে সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই এবিবি মনে করে।

একই সঙ্গে ব্যাংক খাতে সুষ্ঠু পেশাদার কাজের পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে এবিবি যেকোনো বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সব মহলের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে।

প্রসঙ্গত, এক্সিম ব্যাংকের পক্ষ থেকে গুলশান থানায় করা মামলায় বলা হয়, ঋণের জন্য বন্ধকি সম্পত্তির মূল্য বেশি দেখাতে রাজি না হওয়ায় এক্সিম ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন সিকদার গ্রুপের দুই পরিচালক। দুই কর্মকর্তাকে বনানীর একটি বাসায় জোর করে আটক রেখে নির্যাতন করেন এবং সাদা কাগজে সই নেন। ঘটনায় আসামি করা হয়েছে জয়নুল হক সিকদারের ছেলে শিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার তার ভাই দিপু হক সিকদারকে। মামলার পর করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই উড়োজাহাজে থাইল্যান্ডে চলে যান অভিযুক্ত দুই ভাই। ২৫ মে সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন একটি উড়োজাহাজে করে দুই ভাই ব্যাংককে পাড়ি জমান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন