৬৫ দিন বন্ধ থাকার পর আজ খুলছে পুঁজিবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড-১৯-এর কারণে দীর্ঘ ৬৫ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হচ্ছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা দেড়টা পর্যন্ত টানা লেনদেন চলবে। এর আগে ২৫ মার্চ দেশের শেয়ারবাজারে  সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের ব্রোকারেজ হাউজে না এসে বাসায় থেকেই ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে লেনদেন করার জন্য বলা হয়েছে।

সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে কভিড-১৯-এর বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রণীত সামাজিক দূরত্ব স্বাস্থ্যবিধি-সংক্রান্ত অফিস আদেশ পরিপালন সাপেক্ষে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন সেটেলমেন্টসহ -সংকান্ত সব কর্মকাণ্ড পুনরায় শুরু করার বিষয়ে অনাপত্তি দেয়া হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করে আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত লেনদেন কার্যক্রম, ক্লিয়ারিং হাউজের কার্যক্রমসহ সব ধরনের দাপ্তরিক কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দেয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।

পাশাপাশি এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে সব ব্রোকারেজ হাউজকে কভিড-১৯- সতর্কতার জন্য হ্যান্ডশেক আলিঙ্গন না করা, পরিমিত দূরত্ব বজায় রাখা, যেসব কর্মকর্তা, কর্মচারী গ্রাহকের হাঁচি, কাশি কিংবা সন্দেহজনক লক্ষণ রয়েছে তাদের শনাক্তকরণ, অফিস প্রাঙ্গণে প্রবেশের জন্য প্রতিবার হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা, ব্রোকারেজ হাউজে কর্মচারী এবং গ্রাহকদের মাস্ক সরবরাহ করা, দর্শনার্থীদের অফিসে প্রবেশ নিরুৎসাহিতকরণ, কর্মীদের শিফটিং ব্যবস্থা করা এবং অফিসে মুখোমুখি বৈঠক থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন চালুর বিষয়ে অনাপত্তি দেয় বিএসইসি। এদিন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭২৬তম কমিশন সভায় পুঁজিবাজার চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কমিশন সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কভিড-১৯-এর বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় নির্দেশিত সামাজিক দূরত্ব স্বাস্থ্যবিধি-সংক্রান্ত অফিস আদেশ পরিপালন সাপেক্ষে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন সেটেলমেন্টসহ -সংক্রান্ত সব কর্মকাণ্ড পুনরায় শুরু করার বিষয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে অনাপত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ২৬ মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। ছুটি তৃতীয় দফায় বাড়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। তারপর পঞ্চম দফায় মে পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয় ১৫ মে পর্যন্ত। সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ায় সরকার। সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে সংগতি রেখে ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন সেটেলমেন্ট কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন