খুব সাধারণ একজন মানুষের অসাধারণ হয়ে ওঠা, দৃষ্টিহীন মানুষের চোখে নিরন্তর আশার আলো জ্বেলে যাওয়ার গল্প ‘তব দেখা পাই’। ২২ মে শুক্রবার একটি ফেসবুক পেজে ডকু-ফিকশন ফিল্মটির পাবলিক স্ত্রিনিং হয়েছে।
চলচ্চিত্রটির কাহিনী একজন চিকিৎসককে ঘিরে নির্মিত। ড. শাহ্-নূর হাসান। একজন চিকিৎসক হিসেবে অবিরত সেবা দিয়ে চলেছেন। আর শিক্ষক হিসেবে জ্ঞানের আলো বিতরণ করে চলেছেন ভবিষ্যতের উদীয়মান চিকিৎসকদের মাঝে। সেই সঙ্গে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে পাশে রয়েছেন সবসময়।
চার মিনিটের ডকু-ফিকশনটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ড. শাহ্-নূর হাসান নিজে। এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্রে রয়েছেন অভিনেতা মামুনুর রশীদসহ আরো অনেকে।
ডকু-ফিকশন ফিল্মটির স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি ‘স্পর্শ ফাউন্ডেশন’কে দর্শকদের সামনে পরিচয় করিয়ে দেয়া এবং এর কার্যক্রম পরিচালনায় আর্থিক অনুদান সংগ্রহে সহযোগিতা করাও ছিল ডিজিটাল লঞ্চিংয়ের উদ্দেশ্য। ‘স্পর্শ ফাউন্ডেশন’
দৃষ্টি-প্রতিবন্ধীদের নৈতিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ব্রেইল বই দিয়ে সহযোগিতা করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় করে।
অভিনেতা ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব চঞ্চল চৌধুরী ‘...তব
দেখা পাই’
ডকু-ফিকশন ফিল্মটিকে দারুণ অর্জন বলে সাধুবাদ জানিয়েছেন। ‘...তব
দেখা পাই’-এর নির্মাতা কামরুল আবেদীন জানান, ‘ডকু-ফিকশনটি আমাকে একজন চিকিৎসকের ব্যক্তিগত ও পেশাজীবী জীবনকে খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। ডকু-ফিকশন নিয়ে কাজ করা চ্যালেঞ্জিং। তবে একই সঙ্গে বাস্তব প্লটে কল্পনাশক্তিকে গল্প বলার উপকরণ হিসেবে ব্যবহারের স্বাধীনতা পাওয়া যায়, যেটা আলাদা আলাদাভাবে শুধু ডকুমেন্টরি অথবা শুধু ফিকশনের পরিধির বাইরে। আমার বিশ্বাস দর্শক উপভোগ করবে।’
পাবলিক স্ক্রিনিং অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন অভিনেত্রী ও অ্যাক্টিভিস্ট বন্যা মির্জা। স্ক্রিনিং শেষে একটি মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। যেখানে ডকু-ফিকশনটি এবং সমষ্টিগতভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবেলা নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মামুনুর রশীদ, চঞ্চল চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিনসহ বিশিষ্ট চিকিৎসক, নাট্যকর্মী, সংগীতশিল্পী ও সমাজকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ড. শাহ্-নূর হাসান একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং পরিচালক কামরুল আবেদীন একজন ফটোগ্রাফার ও ফিল্ম-মেকার। তিনি ২০১৫ লেন্সকালচার ভিজুয়াল স্টোরিটেলিং অ্যাওয়ার্ড জয় করেন।