চাঙ্গা ভাবের মধ্য দিয়ে ২০১৯ সাল শেষ করেছিল ভিয়েতনামের কফি রফতানি খাত। চলতি বছরের শুরু থেকেও দেশটির কফি রফতানিতে একই চিত্র বজায় রয়েছে। বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি-মে) দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পানীয় পণ্যটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ বেড়ে আট লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। ভিয়েতনামের জেনারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিসের (জিএসও) সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স ও বিজনেস রেকর্ডার।
ভিয়েতনামের রফতানি পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম কফি। বিশেষত দেশটি থেকে রফতানি হওয়া রোবাস্তা কফির খ্যাতি বিশ্বজোড়া। জিএসওর সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-মে সময়ে ভিয়েতনাম থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৮ লাখ ১৩ হাজার টন বা ১ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) কফি রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
বছরের প্রথম পাঁচ মাসে কফি রফতানি করে ভিয়েতনামিজ রফতানিকাতরকরা সব মিলিয়ে ১৩৭ কোটি ডলার আয় করেছেন। এক বছরের ব্যবধানে পানীয় পণ্যটির রফতানি বাবদ দেশটির আয় বেড়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
এদিকে মাসভিত্তিক হিসাবে চলতি মে মাসে ভিয়েতনাম থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার টন কফি রফতানি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে জিএসও। এ সময় পানীয় পণ্যটি রফতানি বাবদ ভিয়েতনামিজ রফতানিকারকদের আয় দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৮০ লাখ ডলারে।