লকডাউনে ভারতে সিমেন্ট উৎপাদন ৩০% কমতে পারে

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর ধাক্কা লেগেছে ভারতেও। প্রতিদিনই দেশটিতে কভিড-১৯ রোগী হু হু করে বাড়ছে। প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টানা লকডাউন চলছে দেশটিতে। পরিস্থিতিতে ভারতে শিল্প কাঁচামাল উৎপাদন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। বাদ যায়নি সিমেন্ট শিল্পও। লকডাউনের কারণে চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশটিতে সিমেন্ট উৎপাদন সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে। ভারতীয় ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি কেয়ার রেটিংসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ইকোনমিক টাইমস।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ভারতের অর্থনীতি আগে থেকেই শ্লথতার দিকে এগোচ্ছিল। এর ওপর যুক্ত হয়েছে করোনা মহামারীর কারণে টানা লকডাউন। সব মিলিয়ে ভারতীয় অর্থনীতি এখন গভীর সংকটের মুখে। দেশটির সিমেন্ট শিল্প অর্থনৈতিক শ্লথতার ধাক্কা সামলে এগিয়ে যাচ্ছিল। তবে চলমান লকডাউন শিল্পকে খাদের কিনারায় নিয়ে এসেছে। উৎপাদন কমার আশঙ্কা তৈরি করেছে।

কেয়ার রেটিংসের প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছর শেষে ভারতে নির্মাণসামগ্রীটির উৎপাদন ২৫-৩০ শতাংশ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে সিমেন্ট কারখানাগুলোর পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন সক্ষমতা কাজে লাগাতে না পারা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, লকডাউনের কারণে শ্রমিক কাঁচামাল সংকটের জের ধরে ভারতের সিমেন্ট কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা ৪০-৪৫ শতাংশই অব্যবহূত রয়ে গেছে।

ভারতের সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, গত বছরের মার্চে দেশটিতে সিমেন্ট উৎপাদনে ১৫ দশমিক শতাংশ প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল। আর এক বছর পর চলতি বছরের মার্চে ভারতে সিমেন্ট উৎপাদন কমেছে এক-চতুর্থাংশ বা ২৪ দশমিক শতাংশ। ভারতে লকডাউন শুরু হয়েছিল ২৪ মার্চ। সেই হিসাবে এতে লকডাউনের পূর্ণাঙ্গ চিত্র উঠে আসেনি। বরং অর্থনৈতিক শ্লথতা দেশটিতে সিমেন্ট উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। আগামী মাস নাগাদ সিমেন্ট উৎপাদনে লকডাউনের প্রভাব নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এপ্রিল-মে মাসে দেশটিতে সিমেন্ট উৎপাদন আরো কমে এসেছে। সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পগুলো পুরাপুরি বন্ধ থাকায় কমে গেছে সিমেন্টের চাহিদাও। এটাও ভারতীয় সিমেন্ট শিল্পের সামনে বড় একটি চ্যালেঞ্জ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন