সীমান্ত ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধে পর্যটকশূন্য থাইল্যান্ড

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে বিদেশীদের চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে থাইল্যান্ড। দেশটি তাদের সীমান্তগুলো বন্ধ এবং বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক ফ্লাইটই বাতিল করে দিয়েছে। এসব কারণে এপ্রিলে বিদেশী পর্যটকশূন্য থেকেছে থাইল্যান্ড। খবর ব্লুমবার্গ।

শুক্রবার দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয় -সংক্রান্ত একটি উপাত্ত প্রকাশ করেছে। অবশ্য যেসব বিদেশী পর্যটক বিশ্বজুড়ে লকডাউনের কারণে থাইল্যান্ডে আটকা পড়েছে, তাদের হিসাব থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রায় ৩২ লাখ বিদেশী পর্যটক থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছে। সময়ে তাদের ব্যয় বাবদ ১৪ হাজার ৬০০ কোটি বাথ (৪৬০ কোটি ডলার) রাজস্ব আহরণ করেছে সরকার। আর এবার বিদেশী পর্যটকদের কাছ থেকে কোনো রাজস্বই আহরণ করতে পারেনি থাইল্যান্ড। দেশটি ১৯৯০-এর দশকের পর এই প্রথম বিদেশী পর্যটকশূন্য থাকল।

থাইল্যান্ডে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষের পরও যে পর্যটকরা থাইল্যান্ডে আসা শুরু করবে, তাও নিশ্চিত নয়। কারণ বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও হয়তো তাদের ভ্রমণের মানসিকতা থাকবে না অথবা ব্যয়ের সক্ষমতা থাকবে না।

মহামারীর আগে থাইল্যান্ডের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) এক-পঞ্চমাংশ আসত পর্যটন খাত থেকে। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি বিদেশী পর্যটক আসে চীন থেকে। পর্যটন খাতের দুর্দশার কারণে দেশটির অর্থনীতিও দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে মন্দায় পড়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

থাইল্যান্ডে এখনো জরুরি অবস্থা বলবৎ রয়েছে। তবে করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমায় লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। কিছু প্রদেশে হোটেলগুলো পুনরায় খুলে দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে করোনাসংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে স্থানীয় পর্যটন শিল্প এখনো স্থবির অবস্থায় রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন